”আপনার মতোন আরো মানুষের প্রয়োজন নীলাঞ্জনা দেবী”। এভাবেই নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়কে কুর্ণিশ জানালেন সাংসদ, অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। শুক্রবার নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়ের দ্রুত আরোগ্য় কামনা করে টুইট করেন মিমি। টুইটারে লেখেন, ‘আপনার মতোন আরো মানুষের প্রয়োজন নীলাঞ্জনা দেবী .. আপনি অনুপ্রেরণা আমার এবং আমাদের মতো অনেক মেয়ের কাছে আজ। কুর্ণিশ জানাই আপনাকে… আপনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি’।
আরও পড়ুন: নগ্ন হলেই মিলবে কাজ, পরিচালক সাজিদ খানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এই মডেলের
আপনার মতোন আরো মানুষের প্রয়োজন নীলাঞ্জনা দেবী .. আপনি অনুপ্রেরণা আমার এবং আমাদের মতো অনেক মেয়ের কাছে আজ। কুর্ণিশ জানাই আপনাকে… আপনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি l pic.twitter.com/qp84XXHYNQ
— Mimssi (@mimichakraborty) September 11, 2020
গত শনিবার রাত ৮টা নাগাদ আনন্দপুর এলাকায় একটি গাড়ি থেকে এক তরুণীর আর্তনাদ শুনে স্বামীকে অ্যালার্ট করেন নীলাঞ্জনা। স্বামীর সঙ্গে অপর একটি গাড়িতে যাচ্ছিলেন তিনি। তরুণীকে বাঁচাতে গাড়ি থেকে নেমে এগিয়ে যান তিনি। এরই মধ্যে তরুণীকে গাড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। গাড়ি ঘুরিয়ে নীলাঞ্জনাকে ধাক্কা মারে গাড়িটি। নীলাঞ্জনা রাস্তায় পড়ে গেলে তাঁর পায়ের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেন অভিযুক্ত। নীলাঞ্জনার বাঁ পায়ের ২টি হাড়ই ভেঙে গিয়েছে।
ঘটনার তদন্তে নেমে যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তখন জানা যায়, আরেক কাহিনি। যুবকের নাম আদতে অভিষেক পাণ্ডে। আর নির্যাতিতা তরুণীর সঙ্গে তাঁর সঙ্গে আগে থেকেই তরুণীর প্রেম ছিল। লকডাউন না বাধা হলে বিয়েও হয়ে যেত। আনন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরও তরুণীর সঙ্গে অভিষেকের যোগাযোগ ছিল। তাতে পুলিশের ধারণা তরুণীই নাম পালটে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। ইতিমধ্যেই তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। নীলাঞ্জনা দেবীর স্বামীর বয়ান নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, নীলাঞ্জনা দেবীরও বয়ান নেবে পুলিশ। ১৬ তারিখ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে থাকবে অভিষেক।
নীলাঞ্জনা দেবীর সমস্ত চিকিৎসার ভার নিয়েছে রাজ্য সরকার। মিমি চক্রবর্তীর শেয়ার করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে। স্ট্যান্ডের ভরসায় নিজের পায়ে উঠে দাঁড়িয়েছেন নীলাঞ্জনা দেবী। ব্যথা সত্ত্বেও তাঁর মুখে রয়েছে হাসি। তাঁর বীরত্বের কাহিনী ইতিমধ্যেই সংবাদ সংস্থা এবং সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েছে । ভেসে আসছে একের পর এক শুভেচ্ছা বার্তা ।
প্রসঙ্গত, বছর তিনেক আগে শো করে ফেরার সময় মিমি চক্রবর্তীর চোখের সামনেও খানিকটা এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল। তেঘড়িয়ার কাছে মত্ত অবস্থায় এক গাড়ি চালক বাইক আরোহীকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ওই রাস্তা দিয়ে ফিরছিলেন মিমিও। সেসময় অভিনেত্রী গাড়ি নিয়ে ওই চালকের পিছু নেন এবং তাঁকে পুলিসের হাতে তুলে দেন। সূত্রের খবর, মিমি চক্রবর্তী নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেন, কিংবা ভিডিয়ো কলে কথা বলতে পারেন।
আরও পড়ুন: সীতারূপেণ সংস্কৃতা! লকডাউনের পর কাজে ফিরলেন মধুমিতা, সামনে এল ‘সীতা লুক’