অবশেষে জামিন পেলেন আরামবাগ টিভির সফিকুল, তাঁর স্ত্রী ও ক্যামেরাম্যান

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

অবশেষে ৪৫ দিন পর মুক্তি পেতে চলেছেন আরামবাগ টিভি ইউটিউব চ্যানেলের সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, তাঁর স্ত্রী আলিমা বিবি এবং ক্যামেরাম্যান সুরজ আলি খান। এদিন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে সফিকুলের জামিনের শুনানি ছিল। সাংবাদিকের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। আদালত এদিন তিন জনেরই জামিন মঞ্জুর করেছেন।

এপ্রিল মাসে আরামবাগ টিভি ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, লকডাউনের মধ্যেও থানা থেকে ক্লাবগুলিকে চেক বিলি করা হচ্ছে। প্রথমে পুলিশ অস্বীকার করলেও পরে কাগজে কলমে মেনে নেয় চেক বিলি হয়েছিল। সফিকুলের অভিযোগ ছিল, ক্লাবগুলিকে পুলিশ সরকারি চেক বিলি করেছিল তার অধিকাংশের কোনও অস্তিত্বই নেই। সবটাই শাসকদলের নেতাদের লুটে খাওয়ার বন্দোবস্ত।

সেই মামলায় জামিন পেয়ে যান সফিকুল। কিন্তু জুন মাসে তাঁর বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয়। সেই মামলায় সস্ত্রীক সফিকুল ও ক্যামেরাম্যান স্রজ আলিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২৯ জুন একটি এফআইআর দায়ের হয় সফিকুল ও সুরজের বিরুদ্ধে। তাতে বলা হয়, গাছ কাটা নিয়ে এক ব্যক্তিকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগকারী পুলিশকে বলেন, সুরজ তাঁকে হুমকি দেন, ৩০ হাজার টাকা না দিলে গাছ কাটার খবর ফাঁস করে দেবেন! তাঁর বক্তব্য, তিনি সুরজকে বলেছিলেন পঞ্চায়েতের নির্দেশে গাছ কাটছেন। তাও টাকা চাওয়া হয়।

আরও পড়ুন: করোনায় মৃত চিকিত্সকের বিল ১৮ লক্ষ! স্বাস্থ্য কমিশনের ‘অনুরোধ’ পেয়েই ৩ লক্ষ টাকা কমালো মেডিকা

অনেকের অভিযোগ, সুরজের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই মামলা সাজিয়েছিল পুলিশ। তাঁদের এও বক্তব্য, বিভিন্ন খবরের জেরে প্রশাসনের উপর মহলে নাড়াচাড়া পড়ে গিয়েছিল। তাতে বাঁহাতি রোজগারে টান পড়ছিল পুলিশের। সেই জন্যই সফিকুলদের জেলে পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছিল।

সফিকুলের গ্রেফতার নিয়ে হইচই পড়ে যায় রাজ্যে। সরব হন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও। টুইট করে রাজ্যের সাংবিধানিক টুইট করে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ করে লিখেছিলেন, “সরকারি টাকা ভুয়ো ক্লাবগুলির মধ্যে বিলি করা তুলে ধরাতে সফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার হয়েছে।” রাজ্যপাল এও লিখেছিলেন, “সাংবাদিকদের চুপ করিয়ে রাখা মানে গণতন্ত্রের মুখ বন্ধ করে দেওয়া।” তা ছাড়াও সফিকুলদের মুক্তির দাবিতে সব্যসাচী চক্রবর্তী, অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়, চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, রবীন্দ্র ভারতীর প্রাক্তন দুই উপাচার্য শুভঙ্কর চক্রবর্তী, পবিত্র সরকার, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভিসি অশোকনাথ বসু থেকে কার্টুন কাণ্ডে জেলে যাওয়া অম্বিকেশ মহাপাত্র-সহ বিশিষ্টরা সরব হয়েছিলেন।

এর আগে সফিকুলদের গ্রেফতারি পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল আদালত।এদিন অবশেষে মুক্তি পাচ্ছেন সফিকুলরা।

আরও পড়ুন: হস্টেলে আটকে রেখে ডাক্তারি পড়ুয়াকে লাগাতার ‘ধর্ষণ’, কাঠগড়ায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest