সংস্কৃতের ছাত্রী প্রজ্ঞা এখন JMB নেত্রী , মা বলছেন শাস্তি চাই

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

সংস্কৃত নিয়ে ধনিয়াখালি কলেজে পড়ছিল মেয়ে।অভাবের সংসারে ছেলে-মেয়ের পড়াশুনো বন্ধ করতে দেননি বাবা মা।২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬। বাড়ি থেকে বেরনোর সময় কলকাতা যাবে বলে বেরোয় মেয়ে। তার পর থেকে বেপাত্তা। বেশ কয়েক দিন পরে ফোন আসে অচেনা নম্বর থেকে। মাকে মেয়ে জানায়, সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। বিয়েও করেছে সেই ধর্মের এক ছেলেকে।

আরও পড়ুন : রক্ত পরীক্ষার ২০ মিনিটেই চিহ্নিত করোনা আক্রান্তরা , দিশা দেখাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

শনিবার ঢাকায় প্রজ্ঞা দেবনাথের গ্রেফতারির পর মা গীতাদেবীর দাবি, অপরাধ করে থাকলে মেয়ের শাস্তি চাই।শনিবার সকালে কাগজে ছবি দেখে সবাই চিনতে পারেন,জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) জঙ্গি গোষ্ঠীর মহিলা ব্রিগেডের নেত্রী আয়েশা জন্নত মোহনা আসলে হুগলির ধনিয়াখালির কেশবপুর গ্রামের প্রজ্ঞা দেবনাথ। বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকা থেকে পাকড়াও করে বাংলাদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা।

বাংলাদেশ পুলিশ দাবি করেছে, প্রজ্ঞা নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় ২০০৯ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে।গত ফেব্রুয়ারি মাসে নব্য জেএমবি-র মহিলা শাখার প্রধান আসমানি খাতুন গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই সংগঠনের মহিলা শাখা বকলমে চালাচ্ছিল প্রজ্ঞা।

জঙ্গি সংগঠনে তাঁর নাম ছিল আয়েশা জন্নত মোহনা এবং জন্নাতুল তসমিন। অনলাইনে নতুন সদস্য নিয়োগ করা থেকে শুরু করে ‘দাওয়াত’ বা নিয়োগের প্রক্রিয়া চালাতো প্রজ্ঞা। ওমানে পাকাপাকি ভাবে থেকে যাওয়া এক বাংলাদেশি নাগরিককে ফোনে বিয়ে করে সে।

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক আধিকারিকের দাবি, ‘‘ভারতে প্রজ্ঞাই প্রথম কোনও মহিলা, যে ধর্ম পরিবর্তন করে আইএস মদতপুষ্ট সংগঠনে যোগ দিয়েছে।” আর এই প্রবণতা যে যথেষ্ট চিন্তার তা স্বীকার করেন তিনি।  কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক আধিকারিকের দাবি, ‘‘ভারতে প্রজ্ঞাই প্রথম কোনও মহিলা, যে ধর্ম পরিবর্তন করে আইএস মদতপুষ্ট সংগঠনে যোগ দিয়েছে।” আর এই প্রবণতা যে যথেষ্ট চিন্তার তা স্বীকার করেন তিনি।

এই খবর শুনে অনেকে বলেছেন কে জানে আসল ঘটনা কি। পুলিশ এবং রাজনীতিবিদদের কথা চোখ বুজে বিস্বর করা সত্যিই কঠিন। যদিও তা প্রকাশ্যে বললেই লোকে দেশদ্রোহী বলবে। অথচ সকলেই জানে পুলিশ কিভাবে মিথ্যা মামলা সাজায়। কত নির্দোষ মানুষ জঙ্গি অপবাদ নিয়ে বছরের পর বছর জেল খেটে মুক্তি পায়।

একথা শুনে আবার অনেকে বলেছেন ইটা তো বাংলাদেশ পুলিশ বলছে। সব দেশের পুলিশই শাসক দলের ধামাধারী। একথা জানে না এমন কেউ এ বিশ্বে বোধ করো নেই। তাছাড়া ইসলাম গ্রহণ করলেই কাউকে জঙ্গি হতে হয় কেন তাও স্পষ্ট নয়। তাহলে দেশ ও বিশ্বজুড়ে এত মুসলিম, প্ৰত্যেকেই জঙ্গি? প্রশ্ন তুলেছেন চেতনা সম্পন্ন লোকজন।

আরও পড়ুন : রক্ত পরীক্ষার ২০ মিনিটেই চিহ্নিত করোনা আক্রান্তরা , দিশা দেখাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest