শীর্ষ নেতৃত্বের চাপ? জিতেন্দ্র ইস্যুতে ঢোঁক গিললেন বাবুল, বললেন পুরানো কাসুন্দি ঘাঁটবো না

জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra Tiwari) BJP-তে যোগদানের পরেই সুর নরম করলেন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। বললেন পুরনো কথা তিনি আর মনে রাখতে চাননা।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

একবছর আগেও আজকের দিনে বাবুল-জিতেন্দ্র রসায়ন ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। আসানসোল লোকসভা নির্বাচন ছিল বাবুল সুপ্রিয় বনাম জিতেন্দ্র তিওয়ারি। কিন্তু মঙ্গলবার বদলে গেল সব চেনা ছক। BJP-র দলীয় পতাকা হাতে তুলে নিলেন জিতেন্দ্র। এরপরেই পুরানো রাগ, ক্ষোভ গলে জল। বাবুল সুপ্রিয় জানান, পুরনো কাসুন্দি তিনি আর ঘাঁটতে চান না। এমনকী, জিতেন্দ্রকে দলে স্বাগতও জানান তিনি।

গত ১৯ ডিসেম্বর শুভেন্দুর অধিকারীর সঙ্গে বিজেপিতে যোগদান করার কথা ছিল জিতেন্দ্র তিওয়ারির। সেখবর প্রকাশ্যে আসা মাত্র ফেসবুকে ভিডিয়ো প্রকাশ করে দলীয় নেতৃত্বের প্রকাশ্য সমালোচনা করেন বাবুল। তার পরই ভেস্তে যায় জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিজেপিতে যোগদানের পরিকল্পনা। ওদিতে ততক্ষণে দলের জেলা সভাপতি ও আসানসোল পুরসভার প্রশাসকের পদ ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।

বাবুলের মধ্যে অসন্তোষ দেখে BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও তাঁর পাশে দাঁড়ান। বলেন, ‘জিতেন্দ্র তিওয়ারির সঙ্গে বাবুলদার ঝগড়া। জিতেন তাঁর রাইভাল ছিল। এখন তাঁর দলে যোগদানের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে, কাজ করতে সমস্যা হতে পারে।’ মহিলা মোর্চা নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল, সায়ন্তন বসু ও রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও বাবুলের পক্ষ নিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: বিজেপির প্রার্থী তালিকায়ও তারকাখচিত, জেনে নিন এগিয়ে কারা…

এহেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি সম্পর্কে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাবুল বলেন, ‘আমরা এক সময় কট্টর বিরোধী ছিলাম। আমরা একে অপরের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই লড়েছি। কিন্তু জিতেন্দ্র তিওয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি লিখেছিলেন। তিনি মোদীজির সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে রয়েছেন।’ বাবুল জানান, দিন ২০ আগে তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল জিতেন্দ্র তিওয়ারির। সেখানেই সব চূড়ান্ত হয়েছে। উনি আসানসোলের বড় নেতা। তৃণমূলের নির্দেশে ওনাকে হিংসাত্মক রাজনীতি করতে হয়েছে।

বর্তমানে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়কপদ ছাড়া আর কোনও পদে নেই জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সেখানেও তাঁর বিরুদ্ধে দিন কয়েক আগে পোস্টার পড়েছে। বিদ্রোহে ইতি টেনে তৃণমূলে ফিরলেও দলে গুরুত্ব পাননি তিনি। ফিরে পাননি ছেড়ে যাওয়া কোনও পদ। ফলে জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিজেপিতে যোগ দেওয়া ছাড়া কোনও উপায় ছিল না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

অন্যদিকে জিতেন্দ্র তিওয়ারির BJP-তে যোগদান প্রসঙ্গে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, ভোটের আগে অনেকেই দল ছেড়ে যাচ্ছেন। আবার অনেকেই BJP ছেড়ে যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। আসানসোলের এই নেতার দল ছাড়ার বিশেষ কোনও প্রভাব পড়বে না বলে দাবি পার্থর। এদিকে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে তীব্র কটাক্ষ করেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। তিনি বলেন, ‘মাঝেও উনি মনের কথা বলতে পারছিলেন না। সেই সময় মনের কথা বলতে অন্য কোথাও যাবেন ভেবেছিলেন। দেখা যাক ওনার মনের কথা BJP শোনে কিনা। ‘

আরও পড়ুন: সাইড লাইনে পুরানোরা! ৩ মাস আগে দলে আসা শুভেন্দুই বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest