বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে বহিষ্কৃত করল তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, এদিন তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির এক বৈঠকের পর বৈশালীকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন বৈশালী। এরপর শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।
এই প্রসঙ্গে হাওড়া জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অরূপ রায় বলেন, ‘‘দল সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলের বিরুদ্ধে কথা বলে যাঁরা দলের ক্ষতি করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কারও কোনও ব্যক্তিগত অভিযোগ থাকতেই পারে। সেটা দলের ভিতরেই বলা উচিত।’’
তাঁর বিরুদ্ধেও বিভিন্ন সময় বৈশালী যে অভিযোগ তুলেছেন, সে প্রসঙ্গে অরূপ বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে কে কী বললেন, তাতে কিছু যায় আসে না আমার। আমি প্রথম দিন থেকে তৃণমূলে আছি। এঁদের কোনও গুরুত্ব নেই। এঁরা চলে যাওয়ায় দলের কোনও ক্ষতি হবে না। দলের প্রতীক না থাকলে এঁরা কেউ বিধায়ক হতে পারতেন না।’’
আরও পড়ুন: মোদির সফরের আগেই মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন ‘বেসুরো’ রাজীব, তৃণমূল ছাড়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা
হাওড়া জেলায় তৃণমূলের রক্তক্ষরণ যেন থামতে চাইছে না। প্রথমে লক্ষ্মীরতন শুক্লা, এরপর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, শেষ পর্যন্ত জগমোহন ডালমিয়ার কন্যা বৈশালী। তবে বাকিদের সঙ্গে বৈশালীর সবচেয়ে বড় পার্থক্য হচ্ছে, তৃণমূল স্বতঃপ্রণোদিতভাবে বৈশাখীকে বহিষ্কার করেছে। বাকি ক্ষেত্রে সকলেই দল ছেড়ে গিয়েছেন। তৃণমূলের এই পদক্ষেপ নিয়ে নিয়ে দলীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেশ করেছে। তাঁর আচরণে দল বারবার বিব্রত হচ্ছিল, তাহলে কি তাঁকে রসগোল্লা খাওয়ানো হবে।”
কুণালের আরও বক্তব্য, বৈশালীর বাবা একজন সম্মানীয় ব্যক্তি ছিলেন তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই জায়গা দিয়েছিলেন। এতদিন ক্ষমতা ভোগ করে এসে ভোটের আগে সুর বদল করার মানে কী, সেটা মানুষ বোঝেন।
আরও পড়ুন: ‘মমতার আগুনে অনুপ্রাণিত, মানুষের জন্য কাজ করতে চাই’ তৃণমূলে যোগ দিয়ে বললেন সৌরভ