লাদেনকে ধরেছিল এই কুত্তার গুষ্টি, গরুমারার সুরক্ষায় এবার আসছে বেলজিয়ান ম্যালিনয়

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ওয়েব ডেস্ক: ‘অপারেশন নেপচুন স্ফিয়ারে’ মার্কিন নেভি সিল কম্যান্ডো বাহিনীর সঙ্গী হয়েছিল ওদেরই একজন। আফগানিস্তানের জালালাবাদ এয়ারস্ট্রিপ থেকে পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদের উদ্দেশে উড়ে যাওয়া দু’টি স্টেলথ ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের একটিতে সওয়ার হয়েছিল ‘কায়রো’! বেলজিয়ান ম্যালিনয় প্রজাতির একটি কুকুর। এবার সুন্দরবনে চোরাশিকারিদের তৎপরতা রুখতে বন দফতরের সারমেয় বাহিনীতে যোগ দিতে আসছে কায়রোরই স্বজাতি সায়ানা

আরও পড়ুন : ‘মমতা চিনের সঙ্গে যুদ্ধ চান, কিন্তু মোদির হিম্মত নেই ’, মন্তব্য করে ফের লাইমলাইটে দিদির কেষ্ট

রবিবার গরুমারা অভয়ারণ্য সূত্রে খবর, মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে তিন মাসের প্রশিক্ষণ শেষে নিয়ে আসা হচ্ছে ওই প্রশিক্ষিত কুকুরকে। প্রথমে তাকে কলকাতায় এনে সল্টলেক ডিয়ার পার্কে শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। সোমবারই গরুমারায় কাজে যোগ দেবে ওরল্যান্ড। কিন্তু কেন তাকে আনার প্রয়োজন হল?

আসলে গরুমারায় জীবজন্তুদের নিরাপত্তা নিয়ে বেশ চিন্তিতই হয়ে পড়েছিলেন বনদপ্তরের কর্মীরা। দিনরাত এক করে অভয়ারণ্যে নিরাপত্তা দেওয়ার পরও চোরাকারবার বন্ধ করা যাচ্ছিল না। একের পর এক বন্যপ্রাণী, বিশেষ করে গন্ডার চোরা শিকারিদের জালে ধরা পড়ছিল। ফলে গরুমারার নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য একাধিক উদ্যোগ নিয়েছিল সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিনহা শনিবার জানিয়েছেন, মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে বিএসএফ পরিচালিত ‘ন্যাশনাল ট্রেনিং সেন্টার ফর ডগস’-এ সফল প্রশিক্ষণপর্বের শেষে শনিবার কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে সায়ানা এবং অরল্যান্ডো নামে আরও একটি ম্যালিনয়।

রবিবার গভীর রাতে তাদের সল্টলেকের বন্যপ্রাণী উদ্ধারকেন্দ্রে পৌঁছনোর কথা। সেখান থেকে সায়নাকে সুন্দরবনে এবং অরল্যান্ডোকে উত্তরবঙ্গের গরুমারা জাতীয় উদ্যানে পাঠানো হবে, রবিকান্ত বলেন, ‘‘এবারের ব্যাচে বিএসএফের ট্রেনিং সেন্টারে মাস ছয়েক ধরে প্রায় ৪০টি কুকুর প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। সায়ানা তারে মধ্যে সেরা নির্বাচিত হয়েছে।’’

বন দফতর সূত্রের খবর, ২০১৭ সালে প্রথম করিম নামে গ্বালিয়রে প্রশিক্ষত একটি ম্যালিনয় পশ্চিমবঙ্গ বন দফতরের কাজে যোগ দিয়েছিল। এর আগে রানি নামে একটি জার্মান শেফার্ড ছিল তাঁদের। করিমের পারফরম্যান্স দেখে পরবর্তীকালে আরও দু’টি ম্যালিনয় আনা হয়।

সায়ানা এবং অরল্যান্ডো যোগ দিলে ১০ সদস্যের সারমেয় বাহিনীতে ম্যালিনয়ের সংখ্যা দাঁড়াবে পাঁচ। শুধু চোরাশিকারি ধরা নয়, বন্যপ্রাণীর দেহাংশ ও বন্যপ্রাণ চোরাচালান রুখতেও সায়নাকে ব্যবহার করা হবে। পাশাপাশি, কাজে লাগানো হবে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে গ্রাম-লাগোয়া বাদাবনে আশ্রয় নেওয়া বাঘ, হরিণ, বুনোশুয়োরদের সন্ধানেও।

আরও পড়ুন : ‘হিংসা ছাড়া সমাধান হয় না, ক্ষমার কথা বলে কাপুরুষরা’, বাংলায় ইস্যু হাতড়াচ্ছেন দিলীপ ঘোষ

Gmail 4
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest