বিশেষ মাস্ক বানিয়ে গুগলের সেরার তালিকায় বাংলার ‘কন্যাশ্রী’ দিগন্তিকা

বিশ্বজয় করল মেমারির 'কন্যাশ্রী' । ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচার নতুন রাস্তা দেখাল বর্ধমানের দিগন্তিকা বসু। যার স্বীকৃতি দিল গুগ্‌ল।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বিশ্বজয় করল মেমারির ‘কন্যাশ্রী’ । ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচার নতুন রাস্তা দেখাল বর্ধমানের দিগন্তিকা বসু। যার স্বীকৃতি দিল গুগ্‌ল। গুগ্‌ল আর্টস অ্যান্ড কালচারে তার তৈরি ভাইরাস প্রতিরোধকারী মাস্ক জায়গা পেল। ‘অনুপ্রেরণামূলক ডিজাইন’ বিভাগের সেরা দশে স্থান করে নিল দিগন্তিকা।

সাংস্কৃতিক নিদর্শন থেকে শিল্পকর্ম, গুগল আর্টস অ্যান্ড কালচার অনলাইন মিউজিয়ামে স্থান করে নেয় বিশ্বের সেরা সৃষ্টিগুলি। যা এক ক্লিকে দেখে নিতে পরে গোটা দুনিয়া। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই ভারচুয়াল মিউজিয়ামটি তৈরি হয়েছিল। তারপর থেকে নানা শিল্পকলা স্থান পেয়েছে এখানে। আর এবার সেখানেই ঠাঁই পেল মেমারির ছাত্রীর অভিনব সৃষ্টি। দিগন্তিকা বোস। মেমারির ভিএম ইনস্টিটিউশন ইউনিট ২-এর দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর প্রতিভার সাক্ষী থাকবে গোটা বিশ্ব।

আরও পড়ুন : সব রাজ্যকে ফ্রিতে দিতে হবে টিকা, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেল দিদির বাংলা

দিগন্তিকা পূর্ব বর্ধমানের মেমারি ভিএম ইনস্টিটিউশন ইউনিট ২-এর দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। ইতিমধ্যে ১১টি উদ্ভাবনের জন্য এই বয়সেই পরিচিতি লাভ করেছে সে। দিগন্তিকা বলেছে, ‘আমার খুব ভাল লাগছে এটা জানতে পেরে যে আমার তৈরি ভাইরাস প্রতিরোধক মাস্ককে গুগ্‌ল আর্টস অ্যান্ড কালচার বিশ্বের সেরা ১০টি অনুপ্রেরণামূলক ডিজাইনের মধ্যে স্থান দিয়েছে।’

করোনার সঙ্গে মোকাবিলায় অনেক পড়ুয়াকেই অভিনব নানা স্যানিটাইজেশন মেশিন, মাস্ক, ফেসশিল্ড বানাতে দেখা গিয়েছে অতীতে। তবে তাঁদের মধ্যে থেকে আলাদা করে নজর কেড়ে নিতে সফল দিগন্তিকা। তাই এই অনলাইন মিউজিয়ামে তার তৈরি ভাইরাস ডিটারেন্ট মাস্কের মডেল সংরক্ষিত থাকছে।

যেখানে জ্বলজ্বল করছে তার নামটি। উল্লেখ রয়েছে, এই ধুলোমুক্ত এবং ভাইরাস-নিরোধক মাস্কটি ভারতের সতেরো বছর বয়সি কনিষ্ঠতম উদ্ভাবক হিসাবে ডিজাইনটির প্রোটোটাইপ করেছেন দিগন্তিকা। গোটা বিষয়টিকে গুগল বর্ণনা করেছে এভাবে।

নিজের জ্ঞান আর বুদ্ধি প্রয়োগ করে দিগন্তিকা আবিষ্কার করেছে যে নেতিবাচক আয়নগুলি যখন বাতাসের সংস্পর্শে আসে, তখন তারা বেশিরভাগ ভাইরাসকে ধ্বংস করে দেয়। সম্পূর্ণ ভাইরাস ধ্বংস নিশ্চিত করতে, একটি সাবান-জল মিশ্রণ দু’টি রাসায়নিক ফিল্টারে যুক্ত করা হয়েছে যা গৃহীত বাতাসকে বিশুদ্ধ করে। তার মধ্যেই ভাইরাসের অবশিষ্ট ধ্বংস করে প্রবেশ করে।

আরও পড়ুন : হিংসার ‘বাহানা’-য় স্পিকার নির্বাচন বয়কট করা যায় না : ফিরহাদ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest