বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র আমদানি করছে বিজেপি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। ফের গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করলেন রাজ্যের খাদ্য ও প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই গোটা প্রক্রিয়ায় রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকেই মাস্টারমাইন্ড বলেও গুরুতর অভিযোগ করেন জ্যোতিপ্রিয়।
উত্তর ২৪ পরগনার মছলন্দপুরে দলীয় সভায় জ্যোতিপ্রিয় সরাসরি বিজেপি-র নাম নিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে লড়তে বিজেপি প্রচুর অস্ত্র আমদানি করছে। এই গোটা প্রক্রিয়ায় মাস্টারমাইন্ড হলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি।’
বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র আমদানি করার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে এর আগেও তুলেছেন জ্যোতিপ্রিয়। তিনি বলেন, ‘২০২১ এর ভোটের বৈতরণী পার হত্তয়ার লক্ষে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে এই রাজ্যের বিভিন্ন অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র আমদানি করছে বিজেপি। আর এই পুরো ঘটনা ঘটনার মূল চক্রে বিজেপি রাজ্য সভাপতি।’
আরও পড়ুন : ভরসা পেলাম, আপনার উষ্ণতা ছুঁয়ে গেল, মমতাকে চিঠি জবাবে লিখলেন অমর্ত্য
বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র আমদানি করার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে এর আগেও তুলেছেন জ্যোতিপ্রিয়। তিনি বলেন, ‘২০২১ এর ভোটের বৈতরণী পার হত্তয়ার লক্ষে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে এই রাজ্যের বিভিন্ন অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র আমদানি করছে বিজেপি। আর এই পুরো ঘটনা ঘটনার মূল চক্রে বিজেপি রাজ্য সভাপতি।’
জ্যোতিপ্রিয় সাফ বলেন, ‘সীমান্ত প্রহরার দায়িত্ব বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)- এর এবং বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রহরার দায়িত্বে থাকার কথা সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ) এর। কিন্তু খুব দুঃখের বিষয় যে বিএসএফ ও সিআইএসএফ উভয়েই এখন দেহরক্ষী হয়ে গিয়েছে। বিএসএফ আর বর্ডার সীমান্ত দেখে না। এরা এখন বিজেপি রাজ্য সভাপতি (দিলীপ ঘোষ), বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (কৈলাস বিজয়বর্গীয়) এদের দেহরক্ষী হয়ে গেছে। এরা কোন জগতে বাস করছে আমি জানি না। আমি জানতাম যারা পুলিশে কাজ করে তাদের দেহরক্ষী হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু যারা সীমান্ত পাহারা দেবেন, তারা এখন বাড়ি পাহারা দিচ্ছে, ফলে সীমান্ত অরক্ষিত হয়ে পড়ছে। সেই অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র ঢুকছে। পরিকল্পনা করে অস্ত্র আমদানি করা হচ্ছে।’
দিলীপ ঘোষকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি প্রকৃত একটা পাগল। ওর চিকিৎসা করার দরকার ছিল। বিজেপির উচিত দিলীপ ঘোষকে এইমস-এ ভর্তি করে চিকিৎসা করানো।
আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীকে দেওয়া রাস্তা ফিরিয়ে নিলেন মমতা, জোরাল রাজ্য-বিশ্বভারতী সংঘাত