‘মমতার পা ভেঙেছে, মন ভাঙতে পারেনি’, ‘বাংলা মেয়েদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ রাজ্য’, তৃণমূলের প্রচারে এসে বললেন জয়া বচ্চন

সাংবাদিকদের কাছে নিরপেক্ষ থাকার আর্জিও জানান জয়া। তিনি বলেন, ‘আপনারা বাঙালি, আপনাদের মন যা বলবে তাই করুন। বাঙালিদের ভয় দেখিয়ে কেউ কখনো সাফল্য পায় নি’।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

তৃণমূলের হয়ে প্রচারে এসে নিজেকে ‘বাংলার মেয়ে’ হিসেবে তুলে ধরলেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চন। বললেন, ‘‘আমি জয়া বচ্চন। আগে জয়া ভাদুড়ি ছিলাম। বাবার নাম তরুণ কুমার ভাদুড়ি। আমরা প্রবাসী বাঙালি।’’

রবিবারই কলকাতায় এসেছেন জয়া বচ্চন। সোমবার শুরু করলেন তৃণমূলের হয়ে প্রচার। তার আগে তৃণমূল ভবনে একদিকে দোলা সেন ও অন্য দিকে পূর্ণেন্দু বসুকে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন তিনি। সেখানেই শুরুতে নিজেকে ‘প্রবাসী বাঙালি’ হিসেবে উল্লেখ করেন জয়া। ভিন রাজ্য থেকে বিজেপি নেতাদের নির্বাচনী প্রচারে আসা নিয়ে শুরু থেকেই ‘বহিরাগত’ অভিযোগে আক্রমণ চালাচ্ছে তৃণমূল। সেখানে জয়ার প্রচারে অংশ নেওয়া নিয়ে যাতে গেরুয়াশিবির পাল্টা প্রশ্ন তুলতে না পারে সেই রাস্তাই যেন শুরুতে বন্ধ করে দিলেন জয়া।

‘স্পষ্ট’ বাংলা উচ্চারণে সাংবাদিক বৈঠক শুরু করেন জয়া। বলেন, ‘‘এখানে অভিনয় করতে আসিনি। যে কাজ দেওয়া হয়েছে, পালন করতে এসেছি।’’ বলিউডের বাঙালি তারকা মিঠুন চক্রবর্তীকে ইতিমধ্যেই বাংলায় প্রচারে নামিয়েছে বিজেপি। তার জবাব দিতেই জয়াকে তৃণমূল আসরে নামিয়েছে বলে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘মিঠুন চক্রবর্তীর একটা পা বাংলায় ছিল, কিন্তু জয়ার তা ছিল না।’’ সাংবাদিক বৈঠকে বেশির ভাগ সময়ই বাংলায় কথা বলেন জয়া। শুধু তাই নয়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানের দু’টি লাইন পাঠও করেন জয়া।

জয়া বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে বাংলার গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই একা লড়ছেন মমতাজি। ওঁর মাথা ফাটিয়ে, পা ভেঙেও থামাতে পারেনি বিরোধীরা। ভাঙতে পারেনি হৃদয়। উনি বাংলাকে শ্রেষ্ঠ রাজ্য হিসাবে গড়ে তুলতে চাইছেন। আমি জানি যে কাজটা উনি করতে চান, তা সম্পূর্ণ করবেন।’’ শেষে মমতা বিরোধীদের জয়ার কটাক্ষ, ‘‘মমতাকে যাঁরা বাজে কথা বলছেন, তাঁদের জন্য একটাই কথা, লজ্জা, লজ্জা!’’

আরও পড়ুন: মমতার পদযাত্রায় ষাঁড় ঢুকে গিয়ে হুলুস্থুল হাওড়ায়

সোমবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকের আগে জয়াকে স্বাগত জানান রাজ্যের মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। ছিলেন দোলা সেন ছাড়াও সমাজবাদী পার্টির এই রাজ্যের কয়েকজন নেতা। জয়ার মাথায় ছিল সমাজবাদী পার্টির ‘লাল টুপি’। নিজের দলের কথা উল্লেখ করে জয়া বলেন, ‘‘অখিলেশ’জি আমাকে বলেছিলেন, এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে আমাদের সমাজবাদী পার্টি তৃণমূলকে সমর্থন করছে। আমাকে প্রচারে আসতে হবে। আমি খুব খুশি হয়েছি। অখিলেশ যাদব ও মমতাজিকে ধন্যবাদ জানাই।’’ এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘আমার ধর্মকে আমি অপহরণ করতে দেব না। আমার গণতন্ত্রকে অপহরণ করতে দেব না। মমতা একজন মহিলা, যিনি সমস্ত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একা লড়াই করছেন। মহিলাদের জন্য নিরাপদতম রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। সেটা তৈরি করেছেন মমতা।’’

সাংবাদিকদের কাছে নিরপেক্ষ থাকার আর্জিও জানান জয়া। তিনি বলেন, ‘আপনারা বাঙালি, আপনাদের মন যা বলবে তাই করুন। বাঙালিদের ভয় দেখিয়ে কেউ কখনো সাফল্য পায় নি’।

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী কয়েকদিন রোজ দু’টি করে বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচার করবেন জয়া। সোমবারই টালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে অরুপ বিশ্বাসের হয়েও প্রচার করেন তিনি। উল্লেখ্য, টালিগঞ্জ কেন্দ্রে বিজেপি-র প্রার্থী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তিনি আবার বলিউডেরও প্রতিনিধি। তাই সেখানে জয়ার প্রচারে নামানোর পরিকল্পনা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন: Bengal Election 2021 : জয়া বচ্চনের নাম ক’জন জানেন? দিলীপের প্রশ্নে বিতর্ক

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest