শিশিরের সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানাবে তৃণমূল

২০০৯ সাল থেকে শিশির কাঁথির তৃণমূল সাংসদ। ২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটেও জোড়াফুলের প্রতীকে লড়েই জয় পেয়েছেন তিনি।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর (Sisir Adhikari) সাংসদ পদ (MP) বাতিলের আবেদন করার পথে এগচ্ছে তৃণমূল (TMC)। সেই দাবি তুলে লোকসভা অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি দেওয়া হতে পারে। এর আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূলের টিকিটে জেতা বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডলের পদ খারিজের দাবি তুলে লোকসভা (Lok Sabha) স্পিকার ওম বিড়লাকে (Om Birla) চিঠি পাঠানো হয়। শিশির অধিকারীর ক্ষেত্রেও যে দল সেই পথে হাঁটছে তার পরিষ্কার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে।

অভ্যন্তরীণ আলোচনায় স্থির হয়, ঠিক যে ভাবে সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বিরুদ্ধে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়ে সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানিয়েছিল দল। সেই চিঠির বয়ানেই স্পিকারের কাছে শিশিরের সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানাবেন লোকসভায় তৃণমূলের সংসদীয় দলনেতা। কিন্তু সেই পথে অন্তরায় হয়েছে স্পিকারের অসুস্থতা। সোমবার কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে দিল্লির এমস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ওম। তাই স্থির হয়েছে তিনি সুস্থ হয়ে ফিরলেই, চিঠি দেবে তৃণমূল সংসদীয় দল।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ২২ জন সাংসদ জিতেছিলেন তৃণমূলের। কিন্তু ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুর কলেজিয়েট ময়দানে অমিত শাহের জনসভায় শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেই বিজেপি-তে যোগ দেন বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল। তারপরেই তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় স্পিকারকে চিঠি দিয়ে তাঁর সাংসদ পদ খারিজের আবেদন করেছিলেন।

আরও পড়ুন: ‘টুম্পা সোনা’, ‘লুঙ্গি ডান্স’-এর পর ‘উরি উরি বাবা’! ‘বিজেমূল’কে বিঁধতে নয়া ব়্যাপ সিপিএমের

মঙ্গলবার কলকাতায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে শিশিরের দলত্যাগ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জবাবে তিনি বলেছেন, ‘‘যে কেউ যে কোনও রাজনৈতিক দলের মঞ্চে যেতেই পারেন। তবে নৈতিকতার খাতিরে দলের দেওয়া পদগুলি থেকে পদত্যাগ করা আবশ্যক ছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে তেমনটা করা হয়নি। দল নিশ্চয়ই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।’’ তারপরেই তৃণমূলের এক বর্ষীয়ান সাংসদ জানান, যথা সময় শিশিরের ক্ষেত্রে পদক্ষেপে করবে দল। তারপরেই জানা গিয়েছে, স্পিকার সুস্থ হলেই কাঁথির বর্ষীয়ান সাংসদের পদ খারিজের দাবিতে চিঠি দেবে বাংলার শাসকদল।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সাল থেকে শিশির কাঁথির তৃণমূল সাংসদ। ২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটেও জোড়াফুলের প্রতীকে লড়েই জয় পেয়েছেন তিনি। কিন্তু গত বছর ডিসেম্বরে পুত্র শুভেন্দুর দলত্যাগের পরেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয় দলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতির পদ থেকে, ছেঁটে ফেলা হয় দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকেও। তখন থেকেই শিশিরের দলত্যাগের জল্পনা চলছিল, রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভায় বিজেপি-তে যোগদানের পরেই তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করতে পদক্ষেপ করছে তৃণমূল।

আরও পড়ুন: এবার ‘সুপার মারিও’র ভূমিকায় মমতা, অভিনব প্রচারে বাজিমাত তৃণমূলের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest