Site icon The News Nest

রবীন্দ্র মাস্টারকে প্রার্থী করায় সিঙ্গুরে বিজেপির কোন্দল প্রকাশ্যে

rabindra mastar

সদ্য তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে যাওয়া সেই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে টিকিট দিল BJP। প্রথা ভেঙেই বয়সের দিকে না তাঁকিয়ে টিকিট দেওয়া হল তাঁকে। রাজনৈতিক মহলের মতে, ৯০ ছুঁইছুঁই মাস্টারমশাইকে দাঁড় করানো BJP-র মাস্টারস্ট্রোক। বয়সের কারণে তৃণমূল টিকিট দেয়নি।

এদিন BJP-র প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছেন, ‘মনটাকে বার্ধক্য জরাজীর্ণ করে দিতে পারেনি। বয়স কোনও ফ্যাক্টর নয়, বয়স শুধুই একটা সংখ্যা।’ প্রাক্তন সহকর্মী বেচারাম মান্নার সঙ্গে লড়াই তাঁর।

যদিও সংবাদমাধ্যমে সামনে তিনি বেচারামকে তাঁর প্রাক্তন সহকর্মী মানতেই চাননি। এদিকে তাঁকে প্রার্থী করার পরেই BJP কর্মীদের একাংশ বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের বক্তব্য, যাদের বিরুদ্ধে লড়লাম, এখন তাঁর হয়ে প্রচারে বেরতে পারব না।দলের সাংসদ, রাজ্য নেতৃত্বর বিরুদ্ধে তাঁরা সরব হয়েছেন।

আরও পড়ুন: টিকিট একাধিক সাংসদকে, বিজেপির তৃতীয় ও চতুর্থ প্রার্থী তালিকায় ঠাঁই টলি তারকা -তৃণমূলত্যাগীদের 

 

তৃণমূল থেকে টিকিট না পেয়ে ‘ক্ষুব্ধ’ ‘সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই’ গিয়েছিলেন BJP-তে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের ছায়া সঙ্গী ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সিঙ্গুর আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মাস্টারমশাই।

দলের ব্যাখা ছিল, বয়সের কারণেই তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে তাতে সন্তুষ্ট হননি তিনি। বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতার দলবদল করাতে কিছু়টা অবাক হয়েছেন অনেকেই। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে টিকিট পেলে তিনি যে নির্বাচনে লড়তে চান সে ইঙ্গিতও দিয়েছেন।

‘মাস্টারমশাই’-এর ছেড়ে যাওয়া আসন থেকে দাঁড় করানো হয়েছে সিঙ্গুরের তৃণমূল নেতা বেচারাম মান্নাকে। শুধু তাঁকেই যে সিঙ্গুর কেন্দ্র থেকে দাঁড় করানো হয়েছে তা নয়, হুগলি জেলারই হরিপাল কেন্দ্র থেকে বেচারাম মান্নার স্ত্রী করবী মান্নাকেও প্রার্থী করা হয়েছে। ‘এই সময় ডিজিটাল’কে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘আমরা প্রতি যে ভাবে অশ্রদ্ধা প্রকাশ করা হয়েছিল, যে অন্যায় করা হয়েছে, তাতে মনে হয়েছে ওই দলে থাকা আর সম্ভব নয়।

কেউ যদি দীর্ঘদিন থাকার পরেও তাঁকে অসম্মান করা হয়, তবে সে কী করবে! আমি BJP তে যোগ দিয়েছি।’ দলের অন্দরে কান পাতলে শোনা যায়, ওই কেন্দ্রের অঞ্চলের তৃণমূল কর্মীদের একটা অংশ বেচারামকে মন থেকে মেনে না নিলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করতে তাঁরা প্রস্তুত নন। বেচারামের হয়েই প্রচারে নামবেন বলে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারপরেই রবীন্দ্রনাথবাবু দলবদল করার সিদ্ধান্ত নেন।

আরও পড়ুন: ফের নতুন অবতারে হাজির ধোনি, আলোড়ন নেটদুনিয়ায়

Exit mobile version