Site icon The News Nest

টিকিট না পেয়ে তৃণমূল থেকে পদ্মফুলে, তবু হাত খালি থাকল এঁদের…

WhatsApp Image 2021 03 18 at 9.57.53 PM

তৃণমূলে কারও দমবন্ধ হয়ে আসছিল। কাউকে তৃণমূল টিকিট দেয়নি বলে প্রকাশ্যেই কান্নাকাটি জুড়েছিলেন। উভয়পক্ষই পা বাড়িয়েছিলেন বিজেপি-র দিকে। তাঁদের মধ্যে কারও কারও ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ল। আবার কেউ কেউ ফিরলেন শূন্যহাতে।

১০টি আসন বাদ রেখে বৃহস্পতিবার শেষ চার দফার প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি। তাতে উল্লেখযোগ্য নাম তিন প্রাক্তন মেয়রের। বিধাননগরের সব্যসাচী দত্ত, হাওড়ার রথীন চক্রবর্তী এবং আসানসোলের জিতেন্দ্র তিওয়ারির।

এমন শিকে ছেঁড়ার উদাহরণ অবশ্য আরও কিছু আছে।

আরও পড়ুন: ‘জোটে ভোট বুক চিতিয়ে’, এবার ‘টুম্পা সোনা’ পার্ট-টু নিয়ে হাজির বামেরা

কিন্তু তার পরেও খালিহাতে থাকতে হচ্ছে তপনের বাচ্চু হাঁসদা (রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী), বসিরহাট দক্ষিণের দীপেন্দু বিশ্বাস (প্রাক্তন ফুটবলার) বা তমলুকের সিপিআই বিধায়ক অশোক ডিন্ডাকে। এঁরাও দলের কাছে টিকিট না পেয়ে বিজেপি-তে গিয়েছিলেন। কিন্তু কেউই মনোনয়ন পাননি। শিকে ছেঁড়েনি সোনালি গুহ ও জটু লাহিড়ীর। বৃহস্পতিবার বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব প্রার্থিতালিকা ঘোষণার পর দেখা গেল, টিকিট পাওয়ার ক্ষেত্রে বিজেপি-তেও ‘ব্রাত্য’ হয়ে রইলেন তাঁরা।

যেমন ব্রাত্য হয়ে রইলেন অমিত শাহের সভায় শুভেন্দুর সঙ্গে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া সুকরা মুণ্ডা। নাগরাকাটায় তাঁকে প্রার্থী না করে পুনা ভেঙরাকে প্রার্থী করা হয়েছে। প্রথম চার দফার প্রার্থিতালিকা নিয়ে এর আগে জেলায় জেলায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল বিজেপি-কে। দু’দিন আগে তৃণমূল থেকে ‘উড়ে আসা’ নেতাদের কেন ‘জুড়ে বসতে’ দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন দলের কর্মীরা। বৃহস্পতিবারের ঘোষণার পর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। এই অবস্থা এখন বিজেপি নেতৃত্ব কি করে সামাল দেয় , সেটাই দেখার।

আরও পড়ুন: বিজেপি অফিসে ভাঙচুর–অগ্নিসংযোগ, নতুন করে প্রার্থী ঘোষণা হতেই তুলকালাম জেলায় জেলায়, নামল র‍্যাফ

 

Exit mobile version