বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল পশ্চিম বর্ধমান। জেলা বিজেপি কার্যালয়ে আদি এবং নব্য কর্মীদের মধ্যে ইটবৃষ্টি শুরু হয় উল্লাস এলাকায়। তারপর মুহূর্তের মধ্যে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি গাড়িতেও। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
জানা গিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, যারা অন্য দল থেকে এসেছে তাদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে পয়সার বিনিময়ে। এছাড়া জেলা কার্য্যালায়ে অনৈতিক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগও রয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, বর্ধমান সফরে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার উদ্বোধন করা দলীয় কার্যালয়ে অনৈতিক কাজ হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হাইভোল্টেজ সোমবার! নন্দীগ্রামে মমতা, মুখ্যমন্ত্রীর খাসতালুকে শুভেন্দুর সভা
সেই অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন বিজেপির পুরনো কর্মীরা। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। অভিযোগ, নতুন কর্মীরা ওই দলীয় কার্যালয়ের ছাদ থেকে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে। বিক্ষোভকারীরাও পালটা ইট ছুঁড়তে থাকে। ভেঙে যায় পার্টি অফিসের জানালা।
মূলত অভিযোগ আজ আউশগ্রাম থেকে প্রায় ১০০০ বিজেপি ও আরএসএস কর্মীরা ও ঊর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করতে এলে তাদের ৩ জনকে মারধর ও কার্যালয়ে আটকে রাখা হয় এক কর্মীকে।
এই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ লাঠিচার্জ করে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে দু’পক্ষই পুলিশের উপর ইট ছোড়ে বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকটি মোটরবাইক ও দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, তাঁরা পুরনো কর্মী। দলের মার খেয়েছেন। কিন্তু যাঁদের সঙ্গে লড়াই করে এসেছেন, তাঁদের দলে নেওয়া হচ্ছে। কোনও কথা শোনা হচ্ছে না। দলে স্বেচ্ছাচারিতা চলছে। তাঁরা বারবার সাংসদ থেকে দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছেন। কিন্তু ফল হয়নি।
আরও পড়ুন: চন্দননগরে শুভেন্দুর মিছিলে ‘গোলি মারো’ স্লোগান, ধৃত বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সহ ৩