Site icon The News Nest

‘গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে BJP, জারি থাকবে প্রতিবাদ’,৮ সাংসদের সাসপেনশন নিয়ে মুখ খুললেন মমতা

mamata 4

Kolkata: West Bengal Chief Minister Mamata Banerjee interacts with media persons during a press conference, at Nabanna Sabhaghar in Kolkata, Tuesday, May 12, 2020. (PTI Photo)(PTI12-05-2020_000284A)

রাজ্যসভায় হাঙ্গামার জন্য আট সাংসদকে এক সপ্তাহের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। তা নিয়ে ‘স্বৈরাচারী’ বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার একটি টুইটবার্তায় মমতা বলেন, ‘কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য লড়াই করা আটজন সাংসদের সাসপেনশনের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক এবং স্বৈরাচারী সরকারের মানসিকতাকে তুলে ধরছে। যারা গণতান্ত্রিক নিয়ম ও নীতিকে সম্মান করে না। আমরা মাথা নত করব না এবং সংসদ ও রাস্তায় নেমে এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করব।’

আরও পড়ুন : শীঘ্রই বাজারে আসছে 5G ফোন OnePlus 8T, টিজার দেখা গেল আইপিএল ম্যাচে

রবিবার রাজ্যসভায় দুটি কৃষি বিল পেশের সময় প্রাথমিকভাবে হই-হট্টগোল হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্র্ণে ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের (দুপুর একটা) পরও অধিবেশন চালিয়ে যাওয়া নিয়ে আপত্তি জানান বিরোধীরা। কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবি আজাদ জানান, সব দলের মত ছাড়া সেই অধিবেশনের সময় বাড়ানো যাবে না। তবে অধিবেশন চলতে থাকে। তা নিয়ে সংসদের উচ্চকক্ষে হাঙ্গামা শুরু হয়। ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশকে রুলবুক দেখান ডেরেক। প্রতিবাদের সময় চেয়ারম্যানের ডেস্কের মাইক্রোফোন ভেঙে ফেলেন কয়েকজন সাংসদ। ডেপুটি চেয়ারম্যানের কাছে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদের পাশাপাশি কাগজ ছিঁড়ে দেওয়ার দৃশ্যও ক্যামেরায় ধরা পড়ে। সেই ঘটনার কড়া নিন্দা করেছিল বিজেপি।

সোমবার সকালে সরকারপক্ষের তরফে আট সাংসদকে সাসপেন্ড করার জন্য প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। যাঁরা রবিবার রাজ্যসভার হাঙ্গমায় যুক্ত ছিলেন। ধ্বনিভোটে সেই প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়। তারপর ওই আট সাংসদকে সাসপেন্ড করে দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। তাঁরা হলেন – তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ও দোলা সেন, আপের সঞ্জয় সিং, কংগ্রেসের রাজু সাতাব, সইদ নাজির হুসেন ও রিপুন বোরা এবং সিপিআইএমের কে কে রাগেশ ও ইলামারান করিম।

অনেকে বলছেন এটা ঠিক কুনাল কামরা অর্ণব গোস্বামী কেস হয়ে গিয়েছে। অর্ণবের ধারণা ছিল না তাকেও কেউ এইভাবে নিগ্রহ করতে পারে। ‘গেরুয়া’ এই সাংবাদিকের ধারণায় হয়ে গিয়েছিলো তিনি যেকোনো মানুষকে নিগ্রহ করতে পারেন।এটা তাঁর বিশেষ অধিকা। কিন্তু কুনাল কামরা বিমানে তাঁকে বুঝিয়ে দেন, তাঁকেও এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হতে পারে। বিজেপির অবস্থা তেমনি। তাদের ধারণা হয়েছে তারা যা খুশি করতে পারে। মানুষ তাদের জিতিয়ে এনেছে। সুতরাং এটা তাদের অধিকারের মধ্যে পড়। সেখানেই ঘা দিয়েছেন তৃণমূল সহ বিরোধী নেতারা। সেটাই বিজেপির কাছে অসহ্য ঠেকেছ।

আরও পড়ুন : রাজা তোর কাপড় কোথায়?’ লোকসভায় মোদি সরকারকে ফের আক্রমণ মহুয়া মৈত্রর

 

 

 

Exit mobile version