কাজ এল না ঝাড়ফুঁকও। উলটে দিনরাত আকণ্ঠ মদ্যপান আর চন্দনা বাউড়ির (Chandana Bauri) নামের মালা জপে চলেছেন বিধায়কের ‘দ্বিতীয় স্বামী’ কৃষ্ণ কুন্ডু। আর এই অনিয়মের জন্য ফের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন তিনি। মঙ্গলবার ফের তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের মেল মেডিক্যাল ওয়ার্ডে ভরতি করতে হল। সেখানে বসে রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার এবং বিজেপি বিধায়ক সত্যনারায়ন মুখোপাধ্যায়কে সতর্ক করলেন তিনি। চন্দনার সঙ্গে তাঁর দূরত্ববৃদ্ধি নিয়ে ওই দুজনকে দুষে বললেন, “এবার ওঁদের মুখোশ খুলে দেব।”
বমি, প্রবল মাথা যন্ত্রনায় ভুগতে থাকা কৃষ্ণ নিজের পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন। অসুস্থ অবস্থায় শালতোড়ার কো-কনভেনারকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাঁর প্রথম স্ত্রী রুম্পা। রুম্পাদেবী জানিয়েছেন, জন্মাষ্টমীর দিন সকাল থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁর স্বামী। অবস্থা আরও খারাপ হতে এদিন তড়িঘড়ি চন্দনা বিরহে কাতর কৃষ্ণকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, সাতদিন আগেই এই হাসপাতালে থেকেই বাড়ি ফিরেছিলেন কৃষ্ণ। এর পর এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই ফের হাসপাতালে ভরতি করতে হল তাঁকে।
আরও পড়ুন: Pori Moni: মিলল স্বস্তি, মাদককাণ্ডে গ্রেফতারির ২৭ দিন পর জামিন মঞ্জুর পরীমনির
জানা গিয়েছে, বাড়ি ফিরে গত সাতদিন খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন কৃষ্ণ কুণ্ডু। দিনরাত মদের নেশায় ডুবে থাকতেন তিনি। এরপর এদিন দুপুরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে ঢোকার মুখে গাড়ি থেকে স্ত্রী রুম্পার কাঁধে ভর দিয়ে নামার পর কার্যত বমি করতে করতেই জরুরি বিভাগে ঢোকেন কৃষ্ণ। এদিকে স্বামীর এহেন অবস্থার জন্য শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনাকেই দায়ী করছেন রুম্পা।
রুম্পার কথায়, “আমার স্বামী পাগল হয়ে গিয়েছে। শুধু বলছে, চন্দনাকে আনব। চন্দনা যদি ওকে ভালবেসে বিয়ে করে থাকে, তাহলে তো এতদিনে খোঁজখবর করত। জানি না, কী হবে।” এদিকে কৃষ্ণর কথায়, “রাজনীতির স্বার্থে আমার আর চন্দনার মধ্যে ব্যবধান তৈরি করা হচ্ছে। এর জন্য ছাতনার বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায় এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার দায়ী। দুর্নীতি করছে ওঁরা। এবার আমি ওঁদের মুখোশ খুলে দেব।”
আরও পড়ুন: বিশ্বক্রিকেটে বজ্রাঘাত! ভারাক্রান্ত হৃদয়ে ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ডেল স্টেইন