বিজেপি সাংসদের অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) ধর্মীয় উসকানি মূলক টুইটকে কেন্দ্র করে এবার উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। অর্জুন সিংয়ের টুইটের ছবি পোস্ট করে পুলিশ জানিয়েছে, “এই পোস্ট বা দাবি বিভ্রান্তিকর।” পাশাপাশি, যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।
১ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার সকালে কালীপ্রতিমা পুড়িয়ে দেওয়ার কিছু ছবি দিয়ে একটি টুইট করেন সাংসদ অর্জুন সিং। লেখেন, “দিদির জিহাদি রাজনীতি এখন হিন্দু ধর্ম ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেখুন মুর্শিদাবাদে কীভাবে মন্দিরের ওপর হামলা চালিয়ে কালীপ্রতিমা পুড়িয়ে দিয়েছে বিশেষ একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ।” টুইটটি ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় বিতর্ক।
আরও পড়ুন: আরও ১ মাস ৫০টাকায় ডায়ালিসিস! সুস্থ হতেই কাজে ফিরলেন ‘জনতার ডাক্তার’ ফুয়াদ হালিম
The jihadi nature of Didi's politics is now hell bent on destroying Hindu religion and culture.
See how one religious group has attacked and destroyed a temple and burned the idol of Maa Kali in Murshidabad area of West Bengal.Shameful. pic.twitter.com/lTnyiV9ctV
— Arjun Singh (@ArjunsinghWB) September 1, 2020
‘বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়’ এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘দিদি’ নামে উল্লেখ করে এই টুইটকে ঘিরে ইতিমধ্যে বিতর্ক ছড়িয়েছে রাজ্য জুড়ে। যা চোখে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের। তারা তাদের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের টুইটের ছবি পোস্ট করে আবেদন জানিয়েছে, ‘এই পোস্ট বা দাবি বিভ্রান্তিকর। এর বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিভ্রান্তিকর এবং উস্কানিমূলক এই পোস্ট এড়িয়ে চলুন।’
— West Bengal Police (@WBPolice) September 2, 2020
এরইসঙ্গে মুর্শিদাবাদের নওদার ‘আলামপুর কালী মা নিমতলা কালীমন্দির’–এর কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে একটি চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। তাতে মন্দির সম্পাদক শুকদেব বাজপেয়ীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ৩১ অগস্ট রাতে কে বা কারা ওই মন্দিরের কালীপ্রতিমায় আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। কোনও চুরির ঘটনা ঘটেনি। এটা একটা দুর্ঘটনাও হতে পারে। এর পরই তাঁর আবেদন, ‘এই এলাকায় হিন্দু–মুসলমান সম্পর্ক খুবই সৌহার্দ্যপূর্ণ। এই ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক রূপ দেবেন না। পরিবেশ অশান্ত করবেন না এবং উত্তেজনামূলক কোনও কাজ করবেন না।’
আরও পড়ুন: নির্মীয়মান বহুতলের নিচ থেকে উদ্ধার তরুণীর দেহ, ধর্ষণ করে খুন? তদন্তে পুলিশ