বারাসত: বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব দায়িত্ব পাওয়ার পরই তেড়েফুঁড়ে ময়দানে নেমে পড়লেন বিষ্ণুপুরের তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
শনিবার বারাসতে সৌমিত্র খাঁয়ের সংবর্ধনার আয়োজন করেছিল বিজেপি যুব মোর্চা। সেই মঞ্চ থেকেই পুলিশ-প্রশাসন ও রাজ্যের শাসকদলকে তুমুল আক্রমণ করেন তিনি। রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি নেতাদের পুলিশ অকারণে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে সৌমিত্র খাঁর হুঁশিয়ারি, ‘উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার আমার গাড়ি আটকাতে এলে তাঁকে চড় মারতেও পিছ পা হব না।’ সাংসদের নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।
এর পর বিজেপি কর্মীদের অকারণে গ্রেফতারের অভিযোগে ধরনায় যোগ দিতে গাইঘাটা চলে যান সৌমিত্র খাঁ। সেখানে রাতভর স্থানীয় সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে নিয়ে ধরনায় বসে ছিলেন সৌমিত্র। পরে এক মহিলা কর্মীকে ছাড়ার পর বিক্ষোভে ইতি দেন তাঁরা।
সংবর্ধনা মঞ্চে সৌমিত্র আরও বলেন, “তৃণমূলে থাকার সময়ে আমি বলেছিলাম, সিন্ডিকেট রাজ, তোলা শিল্পে বন্ধ করতে হবে। তখন আমায় বলা হয়, তৃণমূল করলে এটাই করতে হবে। আমি প্রতিবাদ করেছিলাম বলে আমারও উপর এত মামলা।” প্রসঙ্গত, মামলার জন্য হাইকোর্টের নির্দেশে লোকসভা ভোটে প্রচারে যেতে পারেননি সৌমিত্র। গোটা প্রচার সামলেছিলেন তাঁর স্ত্রী।
স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপি সাংসদের এই বক্তৃতার পাল্টা কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে। বারাসতের তৃণমূল নেতা সলীল মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওঁর উশৃঙ্খল আচরণের জন্যই ওঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দল থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। এখন বিজেপিতে গিয়ে একই কাজ করছে।” তিনি আরও বলেন, “পুলিশের উচিত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা।” যদিও বারাসত জেলা পুলিশের সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “কোনও রাজনৈতিক নেতার বক্তৃতার প্রতিক্রিয়া আমি দেব না।”
আরও পড়ুন: মাত্র ছয় মাসের ব্যবধান, ভেঙে পড়ল বর্ধমান স্টেশনের ফলস সিলিং, আহত ১