সংগঠনের শক্তি বুঝতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ইন্টারভিউয়ের মুখে বঙ্গ বিজেপি’র নেতারা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

টিম অমিত শাহের নেতারা এবার বাংলায় কাজ করতে শুরু করেছেন। বাংলার গ্রামগঞ্জে গিয়ে প্রায় ইন্টারভিউ নেওয়ার কায়দায় সংগঠন কতটা মজবুত তার খোঁজ নিচ্ছেন বিজেপি’‌র চার কেন্দ্রীয় নেতা। তালিকায় রয়েছেন সুনীল দেওধর, বিনোদ তাওড়ে, বিনোদ সোনকর এবং দুষ্মন্ত গৌতম। কর্মসূচি শুরু হয়েছে বুধবার। শেষ হওয়ার কথা শুক্রবার।

দেওধর, তাওড়ে, সোনকার এবং গৌতম যথাক্রমে দলের মেদিনীপুর, নবদ্বীপ, রাঢ়বঙ্গ এবং কলকাতার প্রত্যেক জেলার সভাপতি ও প্রাক্তন সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে আলাদা ভাবে কথা বলছেন।

বিজেপি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় নেতারা জেলার প্রত্যেক নেতার কাছে জানতে চাইছেন তাঁর এলাকার বুথ সংগঠনের প্রকৃত অবস্থা কী, দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আছে কি না এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় তৃণমূল–বিজেপি’‌র মধ্যে কারা বেশি জনপ্রিয়। অনেকেই তার জন্য বিভিন্ন সংগঠনকে দিয়ে সমীক্ষা করিয়েছেন। সেই সমীক্ষা রিপোর্ট কেন্দ্রীয় নেতাদের হাতে তুলে দিয়ে কথা বলছেন বাংলার বিজেপি নেতারা।

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী আমাকে তাড়াননি, আমিও দল ছাড়িনি, রয়ে গেল জল্পনা

বিজেপি সূত্রে আরও খবর, সরাসরি কথা বলার সুযোগ পেয়ে জেলার নেতারাও সব তথ্য তুলে দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের হাতে। সেখানে উঠে আসছে তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের বেশি গুরুত্ব পাওয়া নিয়ে ক্ষোভও।

বুধ–বৃহস্পতিবার বিভিন্ন জেলার অনেক নেতাই কেন্দ্রীয় নেতাদের বলেছেন, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি ১৭% ভোট পেয়েছিল পুরনো নেতা–কর্মীদের পরিশ্রমেই। পরে যাঁরা এসেছেন, তাঁরা সেই তৈরি জমির উপরে ভোট বাড়িয়ে কলার তুলছেন। এ দিকে ব্রাত্য হয়ে যাচ্ছেন পুরনো নেতাদের অনেকে। এতে দলের ক্ষতি হচ্ছে। এদিন দলের নবনিযুক্ত রাজ্য পর্যবেক্ষক ও সহ–পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠক করেছেন বিজেপি’‌র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।

একটি সূত্রের দাবি, বুধবার দক্ষিণ কলকাতার এক রেস্তঁরায় দলের এক কর্মীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে বিজেপিতে যাওয়া টলিউডের কয়েকজন অভিনেতা, অভিনেত্রী এবং রাজ্যসভার এক সাংসদও ছিলেন। বুধবারের ওই অনুষ্ঠানে সৌরভের উপস্থিতির জেরে আবার গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তবে অন্য এক সূত্রে খবর, জন্মদিনের মতো সামাজিক অনুষ্ঠানে সৌরভ বা কারও যোগদানে রাজনীতি খোঁজা অর্থহীন।

আরও পড়ুন: Covid-19: ‘সামাজিক দূরত্ব নয়’ কথাটি হবে ‘শারীরিক দূরত্ব’, মমতার কথা মানল কেন্দ্র

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest