#কলকাতা: হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের ভোটে বিপুল জয় পেলেন বিজেপি প্রভাবিত আইনজীবী সংগঠনের প্রার্থীরা। ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হওয়ার পর গণনার শেষে দেখা যায়, গুরুত্বপূর্ণ ১৫টি পদের মধ্যে আটটিতেই জিতেছেন তাঁরা।
বার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে খবর, ৩টি গুরুত্বপূর্ণ পদেই জয়লাভ করেছে বিজেপি। যেগুলির মধ্যে রয়েছে বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক, সহ-সম্পাদক এবং সহ-সভাপতিপদ। ফলাফল ঘোষণার পর বিজেপির স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে আদালত চত্বর। তবে আইনজীবীরা জয়ের আনন্দে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তুলতেও ছাড়েননি। বিজেপির লিগাল সেলের সদস্য পার্থ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন অশোককুমার ঢনঢনিয়া। তাঁর বিপক্ষে তৃণমূল কংগ্রেসের প্যানেলের প্রার্থী ছিলেন স্বপনকুমার দত্ত। সভাপতি ছাড়াও, সহ-সভাপতি, সম্পাদক, সহকারী সম্পাদক পদেও জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্যানেলের প্রার্থী অজয় চৌবে, ধীরজ ত্রিবেদী এবং অপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’
কেবলমাত্র কোষাধ্যক্ষ পদে জয় পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী দ্বারকানাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেসের প্রার্থী ঋজু ঘোষাল জয়ী হয়েছেন সহকারী সম্পাদক পদে। হাইকোর্ট সূত্রে খবর, এগ্জিকিউটিভ কমিটির ৯ সদস্যের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি প্রার্থীরা। ফলে এ বার বার অ্যাসোসিয়েশনের নীতি নির্ধারণ এবং সিদ্ধান্ত যে রাজনৈতিক ভাবে পদ্ম শিবির থেকেই নিয়ন্ত্রিত হবে এটা পরিষ্কার।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, বাংলায় কী এ বার পরিবর্তনের পরিবর্তন শুরু হয়ে গেল। ২০০৯ সালে লোকসভা ভোটে তৃণমূল বাংলায় কুড়িটি আসনে জেতার পর ঠিক এই ধারাই শুরু হয়ে গিয়েছিল বাংলায়। বার অ্যাসোসিয়েশন থেকে শুরু করে কলেজের পরিচালন কমিটিগুলির ভোটাভুটিতে হারতে শুরু করেছিল বামেরা। সে দিনের ঘটনার সঙ্গে বার অ্যাসোসিয়েশনের এ বারের ভোটাভুটির অনেক মিল রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এ দিনের ফলাফলে যারপরনাই উজ্জীবিত রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের বক্তব্য, তৃণমূল সর্বস্তরে অনিয়ম করেছে। এতোদিন মানুষ ভয়ে কিছু বলতেন না। কিন্তু লোকসভা ভোটের পর মানুষের ভয় কেটে গিয়েছে। এখন আর মুখের উপর প্রতিবাদ জানাতে কেউ ভয় পাচ্ছে না। ফলে পাল্টে দেওয়ার পালা শুরু হয়ে গিয়েছে।
তৃণমূলের নেতারা অবশ্য ঘরোয়া আলোচনায় বলেন, বার অ্যাসোসিয়েশনের ভোটাভুটিতে এত বড় প্রেক্ষাপটে দেখার কোনও কারণ নেই। আইনজীবীদের নিজেদের মধ্যে রসায়নের উপরেই ভোটাভুটির ফল নির্ভর করে। বোকার মতো লাফালাফি করছে বিজেপি।