বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে তুঙ্গে দলবদলের খেলা। আর তারই মধ্যে ২ দলকে একসঙ্গে বিঁধলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী।
বুধবার মৌলালির কাছে রামলীলা ময়দানে রাজ্যে বিজেপির উত্থানের জন্য তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। সঙ্গে বলেন, ব্রিটিশদের কায়দায় দেশকে ধর্মের নামে ভাগ করার কৌশল নিয়েছে বিজেপি।
অধীর বলেন, বিজেপিকে বাংলার মানুষ চিনত না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির সঙ্গে জোট করে তাদের হাত ধরে বাংলায় এনেছিলেন। তার পর ধীরে ধীরে তারা শিকড় ছড়িয়েছে। গত ১০ বছর ধরে তৃণমূল যে ভাবে বাম ও কংগ্রেসের ওপর অত্যাচার করেছে তাতে রাজ্যে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি দুর্বল হয়েছে। তাতে পথ আরও প্রশস্ত হয়েছে বিজেপির। কেউ ইমামদের ভাতা দিতে বলেনি। তাও উনি ভাতা দিয়েছেন। মুসলিমরা গরিব হতে পারে কিন্তু ভিখারি নয়।
আরও পড়ুন: পিছিয়ে গেল ২০২১ সালের মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা, কবে হবে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
বিজেপিতে ব্রিটিশের সঙ্গে তুলনা করে অধীর বলেন, ব্রিটিশরা আমাদের দেশ শাসনের জন্য ধর্মের নামে সমাজকে ভেঙেছিল। মুসলিমদের শত্রু হিসেবে দিখিয়েছিল তারা। কারণ তারা জানত, এদেশ শাসন করতে গেল ধর্মের নামে সমাজকে ভাঙতে হবে।
লড়াইয়ে দেশের সব ধর্মের মানুষ সামিল হয়েছিলেন। এখন ধর্মের নামে দেশ ভাগের একই রকম চেষ্টা করছে বিজেপি। আবার এক স্বাধীনতার লড়াইয়ের সময় এসেছে।বিজেপিকে অধীরের কটাক্ষ, রামের দেশে রাবণের তাণ্ডব চলছে।
বিধানসভা ভোটে বামেদের সঙ্গে জোট করে লড়াই করার জন্য প্রস্তুতি চালাচ্ছে কংগ্রেস। যদিও কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের তরফে এখনো এব্যাপার চূড়ান্ত ছাড়পত্র মেলেনি। তবে নিজেদের মধ্যে আলোচনা জারি রেখেছে দুপক্ষ। দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা রাখতে নিয়মিত বিজেপি ও তৃণমূলকে আক্রমণ করছেন অধীর।
কংগ্রেস এখনও বহু মানুষের মনে রয়েছে। মানুষের সেই আবেগকে কাজে লাগাতে পারলে ভালো ফলের আশা করা যেতেই পারে। এই মুহূর্তে বাংলায় এই কাজটি কংগ্রেস নেতা অধীর ছাড়া সেই অর্থে সফল করার দক্ষতা কারও নেই। সে কথা আমি জনতা থেকে রাজনেতা সকলকেই মানতে হবে।
আরও পড়ুন: দলবিরোধী মন্তব্যের জেরে সায়ন্তনের পর বিজেপি শো-কজ করল অগ্নিমিত্রাকেও