‘বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলাতেও লভ জিহাদ বিরোধী আইন লাগু হবে’। বিধানসভা ভোটের প্রচারে দুর্গাপুরে এসে এমনই মন্তব্য করলেন মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র। তাঁর দাবি, ‘ভোটে যত এগিয়ে আসবে, ততই একা হয়ে যাবেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উত্তরপ্রদেশের মতো দেশের বিজেপিশাসিত রাজ্য়গুলিতে নয়া আইন লাগু হয়েছে। মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। লভ জিহাদ বিরোধী আইনে স্থগিতাদেশ জারি না করলেও, মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং কেন্দ্রকে নোটিস পাঠিয়েছে আদালত।
সভা শেষে নরোত্তম মিশ্র বলেন, ‘মধ্য়প্রদেশে আমরা ধর্মরক্ষার স্বার্থে আইন এনেছি। যাকে আপনারা বলেন লভ জেহাদ। আমি চাইব, বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে বাংলাতে তেমনই আইন লাগু হোক। গরুরক্ষায় আইন চালু হোক।’
আরও পড়ুন:
বাংলার রাজনীতিতে অবাঙালিদের প্রভাব বাড়ছে। এই অবাঙালিদের মধ্যে খানিকটা বিজেপি প্রীতি লক্ষ্য করা যায়। যা বাঙালিদের তুলনায় কিঞ্চিৎ বেশি বলে অনেকে মনে করেন। জয় শ্রী রাম নামক ধ্বনী মতান্তরে বিজেপির স্লোগান শুনে অবাঙালিরা বেশি উৎসাহী হন বলে অনেকের দাবি।
সংস্কৃতিমনা বাঙালি এখনও যোগী মডেল মনে মনে মেনে নিতে পারছেন না। তাদের অনেকেরই আশংকা হয়ত কোনও এক নভেম্বরে টিভিতে বলা হতে পারে ‘আজ থেকে বাংলার নাম বদলে ‘বাঙ্গাল রাজ’ রাখা হল। ওই প্রয়াগরাজ টাইপ। কোনও এক অবাঙালি হয়ে উঠলেন বাংলার হত্তা-কত্তা। তা নিয়ে বাঙালি খানিকটা ভাবছে।
তবে এই সংস্কৃতিমনাদের একটা অংশ মোদী ভক্ত। কি কারণে তারা মোদী ভক্ত, এ প্রশ্ন তুললে সঠিক উত্তর মেলে না। মোদী চরিত্রের ‘নাটুকেপনা’ ‘অর্ধসত্য’ ও ‘মিথ্যা’ ভাষণ দেবার দক্ষতা কিছু কপট বাঙালিকে মুগ্ধ করলেও করতে পারে। এরা বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে হিন্দু ধর্মের জাগরণ দেখতে চান। তাদের ধারণা শাহ-মোদীরা কেবল হিন্দুদের কথা ভাবেন। সুতরাং তাদের দল আসলে হিন্দুদের দল। অথচ সেই টো১২ থেকে আজ পর্যন্ত হিন্দুদের ভালোর জন্য একটি কাজও মোদী বাবুরা করেননি। ওরা কেবল হিন্দুদের কাছে মুসলিমদের ‘অশিক্ষা’ ও ‘ধর্মন্ধতা’ দেখতে চেয়েছে। এমনটা অনেকের ধারণা।
তাতেই গলে গিয়েছেন বহু হিন্দু। আসলে তারা মুসলিমদের পিছিয়ে থাকার স্থায়ী গপ্পো শুনতে ভালোবাসেন। কিন্তু এই সংখ্যাও বেশি নয়। চিন্তার বিষয় এই সংখ্যাটা বাড়ছে। যেকোনও এমন ‘রং নম্বর’ ওয়ালা লোককে জিজ্ঞাসা করুন , ‘মোদী এদেশের কি উপকার করেছেন?’ তিনি বলবেন, ‘মোদীর আগে গোটা বিশ্বে ভারতকে এমন করে কেউ চিনত না। এখন ভারতের দিকে কেউ চোখ তুলে তাকানোর সাহস করে না।’ এদের পছন্দের মিডিয়া দিনের পর এটাই গিলিয়েছে। সেখানেই মোদীর সাফল্য।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়া থামল ৩৩৮ রানে,কম ইনিংস খেলে কোহলিকে ছুঁলেন স্মিথ