মুকুলকে একুশের ভোটে বড় দায়িত্ব দিয়ে দেখে নিতে চায় বিজেপি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

মুকুল রায় এখন বিজেপি’‌র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। রাজ্য বিজেপি’‌র অন্দরে তাঁকে নিয়ে আড়াআড়ি গোষ্ঠী থাকলেও কলকাতার বুকে দাঁড়িয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেছিলেন, একুশের ভোটে মুকুলই প্রধান কারিগর। এবার তা ক্রমশ জোরালো হচ্ছে।

রাজ্য বিজেপির দলীয় অঙ্কে মুকুল রায়ের অবস্থান ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসার পরে এত দিন পর্যন্ত তিনি দলে কিছুটা কোণঠাসা ছিলেন। এ ব্যাপারে হতাশাও ঘনিষ্ঠ মহলে গোপন করতেন না। অবশেষে দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদ লাভের সঙ্গে এ রাজ্যের প্রাক নির্বাচনী পর্বে মুকুলবাবুর ভূমিকা তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।

আরও পড়ুন : ভারতে ফেরার আর কোনো সম্ভাবনা নেই, ফেসবুক পোস্টে স্পষ্ট জানিয়ে দিল PUBG

তৃণমূল থেকে আসা এই নেতা অতীতে হাতে-কলমে অনেকগুলি নির্বাচন করেছেন। নির্বাচনের সাংগঠনিক কুশলতায় তিনি দক্ষ বলে পরিচিতি আছে। বিজেপি সূত্রের খবর, সেই ‘দক্ষতা’কে দলীয় নেতৃত্ব কাজে লাগাতে চান। বিশেষত মুকুলবাবু তৃণমূলের অন্দরমহল সম্পর্কে অভিজ্ঞ বলে বিজেপি মনে করে। সে ক্ষেত্রে বিধানসভা ভোটের আগে তাঁকে তৃণমূল ‘ভাঙানো’র কাজে ব্যবহার করার পরিকল্পনা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আছে।

সত্যি কী বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলে ফের ভাঙন ধরাতে পারবেন মুকুল? উত্তর দেবে সময়। তবে তৃণমূলের এক দাপুটে নেতার নাম বাতাসে ভাসছে। তিনি আবার মন্ত্রীও। বিজেপি জানে তৃণমূলে ফাটল ধরানো দিলীপের কম্মো নয়। বিরোধী শিবের ফাটল ধরানো তো দূরের কথা, উল্টে উনি তো নিজের দেওয়ালেই ফাটল ধরাচ্ছেন। কেবল চোখা চোখা শব্দ ব্যবহার করে সবসময় কাজ হয় না। তাহলে রাজ্যপালকে দিয়েই সবটা হয়ে যেত। রাজনীতি কেবল বয়ানবাজি নয়। সম্ভবত দিল্লির বিজেপি নেতৃত্ব তা বুঝেছে। তাই মুকুলকে বিধানসভায় বড় দায়িত্ব দেবার কথা ভাবছে।

বিজেপির অধিকাংশের মতে, মুকুলবাবুর বর্তমান ভূমিকা অবশ্য এ সবের ঊর্ধ্বে। তাঁরা মনে করেন, ভোটে টিকিট বণ্টনের ক্ষেত্রে মুকুলবাবুর হস্তক্ষেপ এ বার প্রাধান্য পাবে। যদিও তিনি নিজে এ দিন বিনয়ের সঙ্গে বলেন, ‘‘বিজেপির মতো সর্বভারতীয় দলে আমার মতো এক জনের শক্তিবৃদ্ধি হওয়া-না হওয়ার আলোচনাই অবান্তর। আমি যা ছিলাম, তা-ই আছি। কিছুই বৃদ্ধি হয়নি।’’

একই প্রসঙ্গে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘মুকুলদার শক্তি বাড়ল কিনা, সেটা ওঁর কাছেই জেনে নিন। আমরা সঙ্ঘের (আরএসএস) লোক। যখন যে দায়িত্ব দেওয়া হয়, সেটাই পালন করি।’’ বিজেপির একটি সূত্রের দাবি, দলের প্রথা ভেঙে একটি কার্যকরী সভাপতির পদ তৈরি করে সেখানে অল্প দিন আগে আরএসএস ঘনিষ্ঠ হওয়া এক জনকে বসানো হতে পারে। তিনি লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থীও ছিলেন।

আরও পড়ুন : গান্ধী থেকে বার্নড শ, কার্লাইল থেকে হার্ট – সকলেই আপ্লুত মুহাম্মদের(PBUH) জীবনবোধে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest