লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালুর বিষয়ে আলোচনা চেয়ে রাজ্যকে চিঠি দিল রেল। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কবে আলোচনা সম্ভব তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে। এর পরেই জল্পনা তৈরি হয়েছে, তবে কি রাজ্যে দ্রুত লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হতে চলেছে?
করোনা পরিস্থিতিতে বিধিনিষেধ মেনেই লোকাল ট্রেন চালাতে প্রস্তুত বলে রেল জানিয়েছে রাজ্যকে। ট্রেন চালানোর জন্য সব প্রস্তুতিও সারা তাদের তরফে। কিন্তু রাজ্যের সবুজ সঙ্কেত ছাড়া সেটা সম্ভব নয়। সে কারণেই ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনার জন্য দিন-ক্ষণ চেয়ে রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে রেল। ওই আলোচনায় রাজ্য সরকারের অনুমতি মিললেই দ্রুত লোকাল ট্রেন চালু হতে পারে বলে রেলের ইঙ্গিত।
আরও পড়ুন : পুজোর থিম ‘কেদারনাথ’! ২৫ কিলো সোনায় সাজছে শ্রীভূমির দুর্গা, করা যাবে ভার্চুয়াল দর্শন
বুধবার ট্রেন চালুর দাবি জানিয়ে রেলমন্ত্রী চিঠি দিলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। একই দাবিতে এদিন মুখ খুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও।
রেলের তরফে রাজ্যকে দেওয়া ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে, রেলকর্মীদের কাজের জন্য প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন সেকশনে বিশেষ কিছু ট্রেন চালানো হচ্ছে। তবে ওই ট্রেনগুলিতে সাধারণ মানুষ ওঠার চেষ্টা করেন বলে রেলের পর্যবেক্ষণ। কিন্তু বর্তমান করোনা পরিস্থিতির জন্য তার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে গত মার্চ থেকে বন্ধ লোকাল ট্রেন পরিষেবা। তার পর একে একে সমস্ত গণপরিবহণ চালু হলেও কলকাতায় চালু হয়নি লোকাল ট্রেন। যার ফলে বিপদে পড়েছেন কোটি কোটি মানুষ। কলকাতা লাগোয়া জেলা থেকে রোজ কয়েক লক্ষ মানুষ লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করেন। কেউ আসেন ব্যবসার কাজে, কেউ আসেন চাকরিতে। কিন্তু লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় বন্ধ রয়েছে সেসবই। তার জেরে ধুঁকছে জেলাগুলির অর্থনীতি।
করোনা পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রুখতে মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে গোটা দেশের সঙ্গে এ রাজ্যেও লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার পর দীর্ঘ প্রায় সাত মাস ধরে কোনও লোকাল ট্রেন চলেনি। রেল তার কর্মীদের কাজের প্রয়োজনে বিভিন্ন সেকশনে ট্রেন চালাচ্ছে বটে, কিন্তু তাতে সাধারণের ওঠার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। রেলের এই চিঠি নিয়েও নবান্নের তরফে কোনও মন্তব্য মেলেনি।
আরও পড়ুন : কলকাতায় শুরু আইফোন ১২-র প্রি-বুকিং, জেনে নিন কী সঠিক প্রক্রিয়া