মণীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ রাজ্যের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

টিটাগড়ের বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। অর্থাৎ রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা দফতরই এই মামলার তদন্ত করবে। ইতিমধ্যেই সিআইডি তদন্ত শুরু করেছে বলে খবর।যুব নেতা মণীশ শুক্লার হত্যাকাণ্ডের তদন্তে উঠে আসছে একাধিক অসংগতি। জোরাল হচ্ছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব।

ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন সিআইডি আধিকারিকরা। দুপুরেই ঘটনাস্থলে যান তাঁরা। পুরো এলাকা খতিয়ে দেখেন। এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়ে রাজ্য প্রশাসনের উপরেই ভরসা দেখাল সরকার।

রবিবার রাত আটটা নাগাদ টিটাগড়ের বিজেপি পার্টি অফিসে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন ব্যারাকপুরের ডাকসাইটে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল। রাত সওয়া দশটা নাগাদ বাইপাসের ধারের বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। মণীশের মৃত্যুর খবর রটতেই উত্তাল হয়ে ওঠে টিটাগড়। শুরু হয় বিটি রোড অবরোধ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানোর হয় কমব্যাট ফোর্স।

আরও পড়ুন : ‘উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের মতো মাফিয়ারাজ চলছে বাংলায়’, তৃণমূলকে দুষতে গিয়ে বেঁফাস মন্তব্য দিলীপের

পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধেয় মনীশ শুক্লার উপর গুলি চালিয়েই সেখান থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতিরা। মাথায় ও বুকে গুলি লাগে তাঁর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে বারাকপুরের একটি হাসপাতাল, সেখান থেকে তাঁকে বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। কয়েক ঘণ্টা পরই জীবনযুদ্ধে হার মানেন তিনি।

জানা গিয়েছে, সাধারণত মণীশ শুক্লার মতো জনপ্রিয় নেতার সঙ্গে সর্বদাই অন্তত ৭ জন দেহরক্ষী থাকতেন, তার মধ্যে ২ সশস্ত্র। কারণ, খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ঘুরে আসা মণীশের জনপ্রিয়তার কারণেই তাঁর শত্রুসংখ্যা নেহাত কম ছিল না। আগেও দু’বার খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল তাঁকে।

এই খুনের ঘটনায় সরাসরি পুলিশকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করান ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। গতকাল তিনি বলেন, তৃণমূলের লোকজনই মণীশকে গুলি করেছে। গোটা ঘটনায় পুলিশের হাত রয়েছে। নাহলে থানার কাছে ১৫-১৬ জন মিলে এই ধরনের হামলা চালাতে পারে না। সোমবার অর্জুন ফের অভিযোগ করে বলেন, যে বন্দুক দিয়ে গুলি চালানো হয়েছে, সেটা পুলিশের বন্দুক।

সাংসদ অর্জুন সিং নিজেই জানিয়েছেন, ”ওর নিরাপত্তার ব্যবস্থা আমি করে দিয়েছিলাম।” সেই নিরাপত্তার কারণেই হয়ত আততায়ীরা আগের দু’বার ব্যর্থ হয়।তবে তৃতীয়বার সফল হল।

কিন্তু এত নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকা বিজেপি কাউন্সিলরকে এমন নৃশংসভাবে খুনের সুযোগ কীভাবে পেল দুষ্কৃতীরা? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই ধন্দে তদন্তকারীরা। জানা যাচ্ছে, মণীশ শুক্লার ২ নিরাপত্তারক্ষীই রবিবার থেকে সাতদিনের ছুটি নিয়েছিলেন। রবিবার সন্ধেয় যখন তিনি টিটাগড়ের পার্টি অফিসে যান, তখন সঙ্গে কোনও নিরাপত্তা রক্ষীই ছিল না। অথচ তা হওয়ার কথা নয়। তাহলে কি ইচ্ছা করেই নিরাপত্তারক্ষীদের সরিয়ে দিয়ে রাস্তা প্রশস্ত করেছিল আততায়ীরা? এই প্রশ্নের উত্তর মিলছে না।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে তদন্তকারীরা একটি বিষয় প্রায় নিশ্চিত – নাইন এমএম কার্বাইনের মতো অত্যাধুনিক অস্ত্র থেকে শার্প শুটাররা গুলি চালিয়েছিলে মণীশকে। সাধারণ বন্দুক ব্যবহার করা হলে এভাবে শরীর ঝাঁজরা হওয়ার কথা নয়। আর এই বন্দুক আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সপ্রাপ্ত অনেকের কাছেও থাকে না। তাহলে কি সুপারি কিলারদেরই কাজ? উঠে আসছে নানা প্রশ্ন। আগামীতে হয়তো বের হয়ে আসবে তার উত্তর।

আরও পড়ুন : প্রয়াত সমাজবাদী পার্টির প্রবীণ নেতা মুলায়ম সিং যাদব

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest