ঢুকে পড়ছে মাফিয়ারা, গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র BJP-র ‘যোগদান মেলা’

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

দুর্গাপুরের(Durgapur)৩২ নম্বর ওয়ার্ডের পলাশডিহা ময়দানে ‘যোগদান মেলা’-র আয়োজন করে বিজেপি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh) ও সাংসদ অর্জুন সিং(Arjun Singh)। তাঁরা অনুষ্ঠানে আসার আগেই বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা-হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়।

নব্য বিজেপি কর্মীরা স্লোগান দিতে দিতে মঞ্চের দিকে এগিয়ে এলে তাদের বাধা দেয় পুরনোরা। শুরু হয় হাতাহাতি। দুপক্ষেই মঞ্চে উঠে তোলপাড় শুরু করে। ভাঙা হয় চেয়ার।এনিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন দুর্গাপুর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি অমিতাভ যাদব(Amitabha Yadav)।

আরও পড়ুন : শুভেন্দুর নারদা ফুটেজ উধাও, বিজেপি’কে ‘ওয়াশিং মেশিন’ বলে খোঁচা দিল তৃণমূল

এতবছর ধরে যারা তৃণমূলে ছিল সেইসব দুষ্কৃতী ও কয়লা মাফিয়াদের দলে নেওয়া হচ্ছে। এদের হাতে আমরা একদিন মার খেয়েছি। জেলা সভাপতি লক্ষ্ণণ ঘড়ুই এদের বিজেপিতে যোগদান করাচ্ছে। অভিযোগ অমিতাভ যাদবের।

গন্ডগোলের ব্যাপারে বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্ণণ ঘড়ুই বলেন, ‘তৃণমূলের চক্রান্তেই ওই ঘটনা ঘটেছে। দলের কেউ যদি ওই ঘটনার সঙ্গে জড়়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিজেপির একাংশের অভিযোগ, রাজু ঝা বাম আমল কয়লা পাচারের(Coal Mafia)সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অর্জুন সিংয়ের হাত থেকে তিনি আজ বিজেপির পতাকা তুলে নেন। রাজুর বিরুদ্ধে কয়লা পাচার ছাড়াও মাদক, বেআইনি অস্ত্র, জাল নোট পাচার সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

বিজেপির যোগদান মেলা-য় হাঙ্গামা নিয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপির নতুন ও পুরনোদের মধ্যে বিবাদ আরও বাড়বে। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরই কয়লা মাফিয়া বলে যাকে গ্রেফতার করছিল সে এখন বিজেপির সম্পদ। এক সময়ে বাম ঘনিষ্ঠ ও অস্ত্র পচারের সঙ্গে জড়িত পুলিস আধিকারিকও বিজেপিতে গিয়ে সম্পদ বাড়িয়েছে। মানুষ সব দেখছে। ভোটে এর জবাব তাঁরা দেবেন।’

রাজনৈতিক দর্শকদের মত হল, বিজেপি অযথা তাড়াহুড়ো করছে। বাংলায় তারা নেতা বানানোর কোনো চেষ্টা করেনি। অমিত শাহরা র্যাংলার রাজনৈতিক সংস্কৃতি বোঝেন না। তাঁরা সব কিছু কিনে নিতে চান। বসিয়ে দিতে চান নিজেদের পছন্দের লোকজনকে। যেভাবে জয় শাহকে বসানো হয়েছে বিসিসিআইয়ের মাথায়।

বিজেপি যদি অন্যের দলের ভরসা না করে নিজের দলের লোকেদের গুরুর্ত্ব দিত, তাহলে নেতা ছাড়াও তাঁরা ফল ভালো করতে পারত। এমনিতেই তাদের ছড়ানো বিদ্বেষ গোটা দেশের মত বাংলার মাটিতেও কাজ করতে শুরু করেছে। তার ফল তারা পেত। কিন্তু এই কিছুদিন আগে যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হচ্ছিল তাদের হাতে পদ্ম পতাকা ধরিয়ে দেওয়াটা বাংলার বিজেপি পন্থীরা ভালো চোখে দেখছে না।

আরও পড়ুন:  ৪০০ বছর পর! আজ শনি-বৃহস্পতির মহামিলন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে কখন-কোথায় দেখবেন?

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest