‘এই সংকটেও দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা হচ্ছে, ঈশ্বর আপনাদের ক্ষমা করবেন না’, নাম না করে বিজেপিকে বিঁধলেন মমতা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কলকাতা: নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে নাম না করে বিজেপিকে বিঁধলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপি। সঙ্গে তিনি বলেন, এটা বিভেদ করার সময় নয়। 

লকডাউন ভেঙে যারা দাঙ্গা করছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মহামারি আইনে ব্যবস্থা নেবে বলে মঙ্গলবার হুঁশিয়ারি দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্ন সভাঘরে হুগলির তেলিনিপাড়ার সাম্প্রদায়িক অশান্তি নিয়ে বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, ‘আপনাদের লজ্জা লাগে না? এই মহামারির সময় হিন্দু-মুসলিম করছেন। বিধানসভা ভোট তো পরের বছর। এখনই দাঙ্গা করছেন কেন? হিন্দু-মুসলিম না করে যাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় কাজ করছে, তাঁদের পাশে দাঁড়ান। হিন্দু-মুসলিম করবেন না।’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যায় ভদ্রেশ্বরের তেলিনিপাড়ায় দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে তুমল গন্ডগোল হয়। বিভিন্ন বাড়ি লক্ষ্য করে ইট ও পাথর ছোঁড়া পাশাপাশি বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি সোনার দোকানে লুটপাট চলে বলেও অভিযোগ ঘটে। এরপর সোমবার সকাল থেকেই বিষয়টি নিয়ে শুরু বিজেপি ও তৃণমূলের তরজা। বিজেপির পক্ষ থেকে স্থানীয় এক তৃণমূল কাউন্সিলরের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি দেখতে চাইলে স্থানীয় বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে বাধা দেয় পুলিশ। এর জেরে নতুন করে উত্তেজনাও ছড়ায়। মঙ্গলবার সকাল থেকে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। দফায় দফায় বোমাবাজি, ভাঙচুর হচ্ছে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে। এই মর্মে বঙ্গ বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল এদিন রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে সরকার ও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে।

আরও পড়ুন: করোনা সংকটের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব বদলি রাজ্যের, নেপথ্যে কি সেই চিঠি ?

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা। বলেন, ‘একজন হিন্দুর আঘাত লাগলেও আমার কষ্ট হবে, একজন মুসলিমের লাগলেও কষ্ট হবে। বাংলায় সবাই আমার কাছে সমান। এখানে সব ধর্মকে সম্মান করা শেখানো হয়। এসব নিয়ে রাজনীতি কোনওদিন করিনি, করবও না। কিন্তু কয়েকজন আছে এইসময়ও রাজনীতি করে। হিন্দু-মুসলিম করে। আপনাদের লজ্জা লাগে না। বাংলার বদনাম আপনাদের গায়ে লাগে না। কেমন মানসিকতা আপনাদের?’ এরপরই তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যারা লকডাউন ভেঙে রাস্তায় বেরিয়ে দাঙ্গা করছে, সে যে সম্প্রদায়েরই হোক পুলিশকে বলেছি কঠোর ব্যবস্থা নিতে। কাউকে ছাড়া হবে না। প্রয়োজনে মহামারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব বরদাস্ত করা হবে না।’

এই সময়েই তিনি বিরোধীদের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন, বলেন, সাধারণ মানুষ যেখানে ভ্রান্তিমূলক মন্তব্যের জন্য গ্রেফতার হচ্ছেন, তখন বিরোধী দলের বড় নেতারা সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে হিংসায় উস্কানি দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়- “এর বিচার মানুষ করবে।” বিরোধীদের অবস্থানকে ভোট রাজনীতি বলেই ব্যখ্যা করছেন তিনি। স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে যারা হিংসা ছড়াচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে মমতার বার্তা, “ঈশ্বর আপনাদের ক্ষমা করবে না।”

আরও পড়ুন: ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে চিনা কপ্টার, জবাব ভারতীয় সেনার

Gmail 1

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest