বিভাজনে ব্যস্ত বিজেপি! ‘পাড়ায় পাড়ায় সমাধান’, প্রশাসনিক বৈঠকে নয়া কর্মসূচি মমতার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

হিন্দু-মুসলিম বিভাজন নয়। ধর্মীয় তাস নয়। মমতা মানুষের কাছে দিচ্ছেন উন্নয়নের বার্তা। কেবল ঘোষণা নয়। কাজে করে দেখাচ্ছেন। একের পর এক মানুষের কর্মসূচি ও প্রকল্প আনছেন তিনি। যার প্রশংসা করতে বাধ্য হচ্ছে কেন্দ্র সরকারও। এমনই দিদির নয়া কর্মসূচি ‘পাড়ায় পাড়ায় সমাধান।’

আজ বোলপুর সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকদিন আগেই সফরে এসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিরাট একটি ব়্যালি করেছিলেন তিনি। তখনই তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডল পাল্টা হুঙ্কার দিয়েছিলেন মমতার রোড শো তেও দ্বিগুন লোক হবে। আজ গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে একটি সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামীকাল রয়েছে তাঁর রোড শো। ইতিমধ্যে সভার প্রস্তুতি চলছে তুঙ্গে।

আরও পড়ুন: পিছল কলকাতা বই মেলা, পরিবর্তিত দিনক্ষণ জানানো হবে পরে, ঘোষণা গিল্ডের

পাড়ায় পাড়ায় সমাধান কর্মসূচির ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বোলপুরে প্রশাসনিক সভায় এ কথা ঘোষণা করেন তিনি।২রা জানুয়ারি থেকে শুরু হবে এই প্রকল্পের কাজ।চলবে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বিভিন্ন ছোটোখাটো কাজও এই প্রকল্পের আওতায় থাকবে। পাড়ার ছোটসমস্যা সমাধান করা যাবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে।

পাড়ায় পাড়ায় সমাধান কর্মসূচিতে বিভিন্ন ছোটখাটো কাজ এই প্রকল্পের আওতায় করা হবে। এর জন্য আলাদা টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের বিষয়ে কয়েকদিনের মধ্যে বিজ্ঞাপন দেবে সরকার।আগামীকাল বোলপুরে রোড শো রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। গত সপ্তাহে বোলপুরে রোড শো করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জানা যাচ্ছে, সম্ভবত এবার সেই জায়গাতেই পদযাত্রা করবেন তৃণমূলনেত্রী।

&

অন্তত বর্তমান পরিস্থিতি দেখে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মমতার রাজনীতি বিজেপির রাজনীতির থেকে অনেকে গঠনমূলক। তৃণমূলীদের দিয়ে নেতা বানানোর যে কর্মসূচি শাহ ও মোদী বানিয়েছেন তা আসলে বিশেষ কার্যকরী হবে না। বরং লোকসভার পর থেকে যে সময়টা বিজেপি পেয়েছে সেটা যদি তারা নেতা বানানোর কাজে লাগাত তাতে হয়তো লাভ হত।

বাংলায় বলার মত বিজেপি নেতা কোনওকালে ছিল না। শাহ-মোদী জমানায় বিজেপির কাছে এই নেতা বানানোর সুবর্ণ সুযোগ ছিল। অন্য দলের ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ নেতার থেকে নিজের দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতা ঢের ভালো। বিজেপি ক্ষমতা দখলের নেশায় সেটাকে পাত্তা দিল না। মমতার ক্ষতি করতে গিয়ে শাহ-মোদীরা আসলে বাংলার বিজেপিরই ক্ষতি করল বলে মনে করছেন অনেকেই।

আরও পড়ুন: রবিবার বিকেলে রাজভবনে হাজির মহারাজ, কী নিয়ে কথা? রহস্য কাটল না

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest