বঙ্গ বিজেপি নেতাদের কি হয়েছে ! ভোটের আগেই তো এরা সব সেম সাইড গোল দিতে শুরু করেছেন। বিজেপি নেত্রী লকেটের মন্তব্যে ইতিমধ্যেই তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। সম্প্রতি তাঁর একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে সাংবাদিকদের হাথরস প্রসঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলছেন, “যোগী সরকারের ওপর ভরসা রয়েছে। আমরা জানি ধর্ষিতার পরিবার পুরোপুরিভাবে শাস্তি পাবে।” অনিচ্ছাকৃত ওই ভুলের জন্য অবশ্য ক্ষমা চেয়ে নিলেন তিনি। আশ্বাস দিলেন, ধর্ষিতার পরিবার সুবিচার পাবেই।
আরও পড়ুন : দেশে ইন্টারনেট ব্যবসায় আম্বানিকে টক্কর দিতে চলেছে টাটা!
শনিবার দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে কাটোয়া (Katwa) থানার দাঁইহাটের মাকালতোড়ে গিয়েছিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। কর্মসূচি শেষে সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। রাজ্য-রাজনীতি থেকে হাথরাস, বিভিন্ন ইস্যুতে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। সেইসময় উত্তরপ্রদেশে নারকীয় ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর পদযাত্রাকে তীব্র কটাক্ষ করেন লকেট।
তিনি বলেন, “উত্তরপ্রদেশের ঘটনা নিয়ে তৃণমূল পথনাটিকা করছে। আর লকডাউনে পশ্চিমবঙ্গে একই ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণের পর খুন করে জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। একজন অভিযুক্তও শাস্তি পায়নি। উত্তরপ্রদেশে ধর্ষিতা হলে দোষীদের শাস্তির দাবিতে রাজ্যে মিছিল করছেন। অথচ নিজের রাজ্যে কেউ ধর্ষিতা হলে নির্যাতিতার দোষ খুঁজে বের করা হয়।”
আচমকা সাংসদ বলে বসেন, “যোগীজির উপর ভরসা আছে উনি নিশ্চয়ই ধর্ষিতা, যে নির্যাতিতা তাঁর পরিবারের সদস্যদের শাস্তি দেবেন।” মুহূর্তে ভুল সংশোধন করে লকেট বলেন, “দোষীদের শাস্তি দেবেন।” কিছুক্ষণের মধ্যেই সাংসদের ওই মন্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
হাথরাস হত্যাকাণ্ড নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। যোগী সরকারের পুলিশ যে কাণ্ডকারখানা করেছে তা দেখেছে গোটা বিশ্ব। ডিলিট কিশোরীর লাশ পর্যন্ত পরিবারের হাতে দেওয়া হয়নি। মাঝরাতে পুলিশ তা দাহ করে দেয়। মিডিয়াকে নিপীড়িত পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। যারা এইভাবে মেয়ে হারিয়েছেন উল্টে তাদেরই শাসিয়ে এসেছেন ডিএম। যোগীর বিরুদ্ধে রগে ফুঁসছে গোটা দেশ। নীরব রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে কাকে বা কাদের আড়াল করতে পুলিশ এমন তৎপরতা দেখাল। তা এখনও গোপন।
আরও পড়ুন : সমর্থকদের ‘সারপ্রাইজ’ দিতে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে পড়লেন করোনা আক্রান্ত ট্রাম্প