আগে অস্বীকার, এখন মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া সরকারি চাকরিতে ‘না’ নেই আনন্দ বর্মনের পরিবারের

এর আগে যদিও, আনন্দের পরিবার তৃণমূল সরকারের কাছ থেকে কোনও সাহায্যই নিতে রাজি হননি।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ভোটের চতুর্থ দফার দিন শীতলকুচিকাণ্ডে  নিহতদের পরিবারের এক সদস্যকে চাকরি দেবে মমতা সরকার। বৃহস্পতিবারও সে কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে । প্রথমে আপত্তি থাকলেও  রাজ্য সরকারের দেওয়া চাকরি নিতে রাজি নিহত বিজেপি কর্মী আনন্দ বর্মনের পরিবারের সদস্যরাও।

চতুর্থ দফার নির্বাচনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শীতলকুচি। সকালেই তৃণমূলের হামলায় আনন্দ বর্মন নামে এক যুবকের মৃত্যুর খবর আসে। এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শীতলকুচি। বেলায় জোরপাটকি এলাকায় সিআরপিএফের গুলি চালনার অভিযোগ ওঠে। তাতে মৃত্যু হয় চার গ্রামবাসীর। সেই সময় বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হলেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, কে, কোন দলের সমর্থক দেখার প্রশ্ন নেই। সকলেই ক্ষতিপূরণ পাবেন। আনন্দের পাশাপাশি মনিরুজ্জামানের ভাই পিঙ্কু রহমান, সামিউল মিয়াঁর ভাই শহিদুল হক, সামিদুল মিয়াঁর স্ত্রী হাসিমা বিবি এবং নুর আলমের স্ত্রী জোবেদা বিবি চাকরি পাচ্ছেন। আনন্দের দাদা গোবিন্দকে চাকরি দিচ্ছে রাজ্য। এ ছাড়াও নগদ ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে প্রত্যেক পরিবারকে।

আরও পড়ুন : অসুস্থ প্রবীণ অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়, জ্বর,শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হাসপাতালে

আধা সামরিক বাহিনীর তরফে গুলিচালনার কথা স্বাকীর করে নেওয়া হয়। আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালাতে হয়েছিল বলে দাবি করেছিল কর্তব্যরত সিআরপিএফ জওয়ানরা। তবে কেন তাদের এমন হিংসার আশ্রয় নিতে হল, ত্তার কোনও স্পষ্ট জবাব নেই। নেই কোনও ফুটেজও। যাতে প্রমাণ হতে পারে যে সত্যিই এমন গুলি চালানোর দরকার ছিল। এলাকার লোকদের অভিযোগ কেন্দ্রীয় শাসক দলের প্ররোচনাতেই সবটা হয়েছিল। এর পরও বঙ্গ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ ও সায়ন্তনদের ফুটেজে সমেত উস্কানি মন্তব্য সামনে এসেছিল।’

শুক্রবার শীতলখুচির তৃণমূল নেতা পার্থপ্রতিম রায়ের সঙ্গে দেখা করেন নিহত কিশোরের পরিবার। তাঁদের সঙ্গে নিয়েই সাংবাদিক বৈঠক করেন পার্থপ্রতিম। সেখানে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার আনন্দের পরিবারকে বার্তা পাঠিয়েছিলেন তিনি। দেখা করতে চেয়েছিলেন। তাতে রাজি হন পরিবারের লোকজন। সেই মতো শুক্রবার সকালে আনন্দের মা বাসন্তী বর্মণ, দাদা গোবিন্দ বর্মণ এবং মামা জগদীশ রায় দেখা করেন। জানান, তাঁরা সরকারি সাহায্য নিতে রাজি।

এর আগে যদিও, আনন্দের পরিবার তৃণমূল সরকারের কাছ থেকে কোনও সাহায্যই নিতে রাজি হননি। সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে তবেই সাহায্য নেবেন। তাহলে কি চাপের মুখেই সে কথা বলেছিলেন তারা? শেষ পর্যন্ত ভয় কাটল কী করে? এই প্রশ্ন তুলতেই মাঝপথেই সাংবাদিকদের থামিয়ে দেন পার্থপ্রতিম। পুরনো প্রসঙ্গ তুলে লাভ নেই বলে জানিয়ে দেন তিনি।

তবে এ বার কী করবেন জানতে চাইলে, আনন্দের মা বলেন, ‘‘চাকরি নেব। ঘর করব। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দোষীদের শাস্তি চাইব।’’ আনন্দের দাদা গোবিন্দ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সবার মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি যদি ১০টা পরিবারকে চাকরি দেন, নিতে বাধা নেই। ভাইকে যারা মেরেছে, সেই দোষীদের শাস্তি হোক।’’

আরও পড়ুন : ‘মিঠাই’ আবার ‘বাংলা সেরা’, সেরা দশের তালিকায় প্রথমবার ‘বরণ’

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest