পূর্ব বর্ধমান জেলায় এক লাফে আরও অনেকটাই বাড়ল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় পূর্ব বর্ধমান জেলায় নতুন করে ৭৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বর্ধমান শহরে একদিনে ৪৯ জন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল। এই নিয়ে জেলার সদর শহর বর্ধমানে আক্রান্তের সংখ্যা ২০০পার হয়ে গিয়েছে। জেলায় এ দিন পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে দশ জনই বর্ধমান শহর এলাকার বাসিন্দা। সব মিলিয়ে শহরের সব প্রান্তেই সংক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।
বর্ধমান এক নম্বর ব্লকে তিনজন ও বর্ধমান দু নম্বর ব্লকেও একজন আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে ভাতার, গলসি এক নম্বর ও গলসি দু নম্বর ব্লকে একজন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ব্যাপক ভাবে করোনা সংক্রমণ দেখা দিয়েছে কালনা মহকুমা জুড়ে। কালনা পৌরসভা এলাকায় নতুন করে পাঁচজন আক্রান্ত হয়েছেন। কালনা এক নম্বর ব্লকে আক্রান্ত হয়েছেন নয়জন। কালনা দু’নম্বর ব্লকে তিন জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া জামালপুর, মন্তেশ্বর, খণ্ডঘোষ ও রায়না এক নম্বর ব্লকে একজন করে করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে।
আরও পড়ুন: বাড়ি ফিরেছেন ফুয়াদ, এবার করোনা আক্রান্ত মহম্মদ সেলিম, ভর্তি হাসপাতালে
প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় জেলাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। করোনার সংক্রমণে রাশ টানা না যাওয়ায় চিন্তিত জেলার সচেতন বাসিন্দারা। অন্যদিকে সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লেও জেলার সদর শহর বর্ধমান, কালনা, কাটোয়া শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে তেমন সচেতনতা দেখা যাচ্ছে না। প্রতিদিনই শহরের ব্যস্ততম এলাকাগুলি, রাস্তা, বাজারে ব্যাপক ভিড় হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই কেনাকাটা করছেন বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের এই সচেতনতার অভাব সংক্রমণ আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গতকালই পূর্ব বর্ধমান জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছিল। নতুন করে আরও ২৭ জন আক্রান্ত হওয়ায় সেই সংখ্যা বেড়ে হল ১০৮০ জন। এর মধ্যে ৭০২ জন বাসিন্দা ইতিমধ্যেই চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বর্তমানে ৩৫৫ জন করোনা হাসপাতাল, সেফ হাউস ও সেফ হোমে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: কিশোর কুমারের জন্মদিনে মান্না দে’র গান পোস্ট, ফের হাসির খোরাক দিলীপ ঘোষ