করোনা আশঙ্কা করছেন? হোয়াটসঅ্যাপ করলেই বাড়িতে এসে টেস্ট করবে পুরসভা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টিংয়ে জোয়ার আনতে এবার বাড়ি গিয়ে টেস্ট করবে কলকাতা পুরসভা। শনিবার এমনটাই জানালেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শুধু তাই নয়, কোমর্বিডিটি চিহ্নিত করতে বাড়ি বাড়ি সার্ভে করে ডেটাবেস তৈরি করবে কলকাতা পুরসভা।

সম্প্রতি আরটিপিসিআর টেস্টের পাশাপাশি র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের উপরে জোর দিয়েছে পুরসভা। প্রতিটি বরোতে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে মাত্র আধঘণ্টার মধ্যে জানা যায় কেউ করোনা আক্রান্ত কি না। তার ফলে দ্রুত করোনা রোগীকে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা যায়। আটকানো যায় সংক্রমণও। এ বার বাড়ি বসে যাতে করোনা টেস্টের সুবিধা নাগরিকেরা পেতে পারেন, সে কারণে শনিবার একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর (৯৮৩০০৩৭৪৯৩)-এর কথা ঘোষণা করলেন পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।

আরও পড়ুন: ফেসবুক–বন্ধুকে বিয়ে করে পুরনো স্বামীর ওপর অত্যাচার, ঠিক যেন সিনেমা

তিনি বলেন, “বিভিন্ন ওয়ার্ডে অ্যান্টিজেন এবং আরটিপিসিআর টেস্ট হচ্ছে। যত বেশি টেস্ট করা যাবে, তত দ্রুত করোনা রোগীদের চিহ্নিতও করা যাবে। ওই নম্বরে যে কেউ টেস্টের বিষয়ে জানাতে পারেন। কোনও ক্লাব বা কারও বাড়ি অথবা কোনও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যাবেন আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হবে। তবে কমপক্ষে ২০ জন হতে হবে। প্রয়োজন মনে হলে, তাঁদের আরটিপিসিআরও টেস্ট করানো হবে।” তাঁর কথায়, “উপসর্গ না থাকলে অনেকেই টেস্ট করতে আগ্রহী হন না। এক বার টেস্ট হওয়ার পর যদি কারও রিপোর্ট নেগেটিভ আসে, তাঁরা মনে করেন আর টেস্ট করার দরকার নেই। কিন্তু তাঁরা পরেও আক্রান্ত হতে পারেন। যত টেস্ট করা যাবে, তত দ্রুত করোনাকে আমরা হারাতে পারব।”

করোনা টেস্টের পাশাপাশি কো-মর্বিডিটি আছে এমন রোগীদেরও চিহ্নিত করতে চাইছে পুরসভা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা নাগরিকদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজ নেবেন। যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের একটি তালিকা তৈরি করে স্বাস্থ্য দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান ফিরহাদ। তিনি বলেন, “কলকাতায় যাঁরা বাড়িতে রয়েছেন, তাঁদের জন্য সার্ভে করা হবে। শারীরিক সমস্যা রয়েছে কি না, তার তথ্য স্বাস্থ্যভবনে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। মাক্রোপ্ল্যানিং করা হবে। যাতে করোনা হলে, ওই তথ্য দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।”

আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে দুর্যোগ, প্রবল বৃষ্টিতে ভাসতে পারে বাংলা, জারি কমলা সতর্কতা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest