কলকাতা: আক্রান্তের সংখ্যায় প্রতিদিনই পুরোনো রেকর্ড ছাপিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। রবিবার সন্ধ্যায় নবান্ন থেকে প্রকাশিত বুলেটিন অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হলেন ৪৪৯ জন। এক দিনে আক্রান্তের নিরিখে যা সর্বোচ্চ।
রাজ্যে মোট করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজারের গণ্ডি টপকে গেল। রাজ্যে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ১৮৭ জন। এভাবে চলতে থাকলে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা হয়তো সপ্তাহখানেকের মাথাতেই ১০ হাজারের গণ্ডি টপকে যাবে বলে আশঙ্কা স্বাস্থ্য ভবনের কর্তাদের।
আরও পড়ুন: অগস্টের পরে খুলবে স্কুল-কলেজ , জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
তবে রাজ্যে রোগমুক্তির হার ৪০ শতাংশের বেশি যা স্বস্তি জুগিয়েছে স্বাস্থ্য কর্তাদের। তিন হাজারের বেশি আক্রান্ত রোগমুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।সব মিলিয়ে জুন মাসে এ রাজ্যে যে করোনার সংক্রমণ শীর্ষবিন্দুমুখী তা মেনে নিচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। তাঁদের আশঙ্কা জুলাই মাস পর্যন্ত এই হার বজায় থাকতে পারে। এমসের অধিকর্তারও ইঙ্গিত গোটা দেশে আগামী দু’মাসে সংক্রমণ আরও বাড়বে।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে বহু মানুষ সুস্থও হয়ে উঠছেন। এ দিনই আবার হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ১৮৪ জনকে। ফলে এখনও পর্যন্ত ৩,৩০৩ জন করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে উঠলেন। এটি মোট আক্রান্তের ৪০.৩৪ শতাংশ। বর্তমানে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৪,৪৮৮ জন।
জুন মাসের শুরু থেকেই রাজ্যে নতুন করে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফিরে আসার ফলেই এই বৃদ্ধি বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ। তবে আনলকডাউন পর্বে রাস্তায় মানুষের ভিড় বেড়ে যাওয়াও যে আরেকটি কারণ তা স্বীকার করেছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। তাঁরা ইঙ্গিত দিচ্ছেন, এ মাসের বাকি দিনগুলোয় পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য আরও কোভিড কেয়ার সেন্টার প্রয়োজন। সেই কারণে নতুন নতুন জায়গা বাছাই করা হচ্ছে।
রাজ্যে প্রতিদিনই আরও বেশি বেশি করে টেস্ট করা হচ্ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কনফার্মেশন রেট। এ দিন আরও ৯,৭৮৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ফলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ২ লক্ষ ৭১ হাজার ০৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হল বলে সরকারিভাবে জানানো হয়েছে। কনফার্মেশন রেট ২.৯৬ শতাংশ থেকে বেড়ে এ দিন হয়েছে ৩.০২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে ১০০% হাজিরা বাধ্যতামূলক, কলকাতা পুরসভার বিজ্ঞপ্তিতে ফাঁপড়ে কর্মীরা