কলকাতা: ধীরে ধীরে লকডাউনে ছাড় দেওয়ার কথা আগেই হয়েছিল, এবার সেই কথাই একে একে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সংক্রমণের তথ্য অনুযায়ী তিনটি জোনে ভাগ করা হবে রাজ্যের কনটেনমেন্ট জোনগুলিকে (Containment Zone)। তিনটি জোন যথাক্রমে – এ অর্থাৎ ক্ষতিগ্রস্ত জোন, বি অর্থাৎ বাফার জোন এবং সি অর্থাৎ ক্লিন জোন। এরমধ্যে বি ও সি জোনে ২১ তারিখ থেকে খুলে যাবে সেলুন-সহ সব দোকান। সেলুন-পার্লারে কড়া ভাবে স্বচ্ছতা ও সামাজিক দূরত্বের নীতি মানতে হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (West Bengal Chief Minister)। একই দিন থেকেই রাস্তায় চালু হবে অটো। তবে সর্বোচ্চ দু’জন করে যাত্রী বসতে পারবেন অটোতে।
তিনি এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে বললেন, ধীরে ধীরে রাজ্যের একাধিক পরিষেবায় অনুমতি দেওয়া হবে। তিনি বললেন, ২১ তারিখ থেকে রাজ্যে খোলা থাকবে সেলুন ও বিউটি পার্লার। ফলে দীর্ঘ সময় পর খুলে যাবে সেলুন। অনেকেই এই অনুমতির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। একইরকম কথা খাটে বিউটি পার্লারের জন্য। সেগুলিকেও আপাতত খুলে দেওয়া হবে। তবে সর্বত্র মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। কোনওভাবে যাতে সামাজিক দূরত্বের নিয়ম যাতে না ভাঙা হয়, সেই বিষযেও খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে। একজনের ব্যবহারের জিনিস যাতে অন্য কারওর ক্ষেত্রে ব্যবহার না করা হয়, সেই বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বুলবুলের দেড়গুণ গতি, শক্তি বাড়িয়ে ‘আমফান’ এখন সুপার সাইক্লোন
২১ মে থেকে বড় দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে ২৭ মে থেকে হকার মার্কেট খোলার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরে। এছাড়া, সরকারি, বেসরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করা যাবে। এছাড়া ২১ মে থেকে শুরু হবে আন্তঃজেলা বাস পরিষেবা। তবে আপাতত চালু হচ্ছে না রেস্তোরাঁ। আর সিনেমা হল, থিয়েটার হল নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত জানা যায়নি। এছাড়া এদিন পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়েও রাজ্য সরকার যা ভাবছে, সেটাও স্পষ্ট করেন তিনি। বলেন, রাজ্যে এখনও ১৬টি স্পেশাল ট্রেন এসেছে, আরও অনেকগুলি ট্রেন রাজ্যে আসবে। ২৩৫টি ট্রেনের সমস্ত খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: বাড়ছে না বাস ভাড়া, ট্রামের সঙ্গে নামছে হাজার অ্যাপ ক্যাব,জানাল রাজ্য সরকার