এ বঙ্গেও লাগাম ছাড়া হয়ে উঠছে করোনা সংক্রমণ । এই পরিস্থিতিতে নয়া নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির উপসর্গ তীব্র হলেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। যাদের মৃদু উপসর্গ, তাঁদের সেফ হোমে পাঠাতে হবে।’ স্বাস্থ্য দফতরের কল সেন্টারের মাধ্যমে যাচাই করা হবে কোনও আক্রান্ত ব্যক্তি সংকটজনক নাকি মৃদু উপসর্গ। বেসরকারি হাসপাতালে বেড সংকট মেটাতেও টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এদিন টুইটারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। টুইটারে রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। কোভিড চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, মুখ্যসচিবের থেকে জবাব পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা ভেবে এই পরিস্থিতিতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির কাছে আবেদন জানান।’
আরও পড়ুন : JEE Mains 2021: কোপ এবার জয়েন্টে, পিছিয়ে গেল পরীক্ষা
ভাইরাসকে ঠেকাতে নয়া ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন , ‘যারাই বাইরে থেকে রাজ্যে আসবেন, তাঁদের আরটি-পিসিআর টেস্ট করতে হবে।’ উল্লেখ্য, ভোটবঙ্গে যেভাবে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তার জন্য বিজেপি নেতাদেরই দায়ী করেছেন মমতা।বর্ধমানের গলসির সভা থেকে মমতা বলেছেন,’ রাজ্যে প্রচুর বহিরাগত ঢুকেছে। বহিরাগত গুন্ডারা এখন সব বাংলায় বসে আছে। প্রায় ১০ হাজার বাইরের লোক এসে বসে আছে, তারাই কোভিড নিয়ে এসেছে। আমাদের রাজ্যে যতটুকু কোভিড হয়েছে, তা হয়েছে ওই বহিরাগতদের জন্যই।’
বাংলায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে শনিবার প্রায় পৌনে আট হাজারে পৌঁছেছে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছেন, গত বছর লকডাউনের পরে যে সব বিধি মেনে নাগরিক জীবন চালু হয়েছিল, সেই বিধিগুলি কঠোর ভাবে মানতে হবে। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক হচ্ছে।
কঠোর ভাবে এই বিধি কার্যকর করতে পথে নামবে প্রশাসন। কিন্তু সরকারি নির্দেশগুলি কী ভাবে কার্যকর হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে নাগরিক সমাজে। কারণ ভোটের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলির প্রচারে করোনা-বিধি ভঙ্গ হলেও কোথাও তার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন বা প্রশাসন সে ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়নি। আরও অন্তত তিন সপ্তাহ রাজ্যে নির্বাচন বিধি জারি থাকবে। ভোট প্রচার করলে করোনা হবে না, একথা বোধকরি মোদীও বলতে পারবেন না।
আরও পড়ুন : IPL 2021: কোহলিদের টপকে এক নম্বরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, KKR রইল পিছনের সারিতেই