এ বার রাজ্যে আত্মঘাতী হলেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী। কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত এক যুবক কলকাতার নীলরতন সরকার হাসপাতালে আত্মহত্যা করেছেন। হাসপাতালের শৌচালয় থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁর দেহ।রাজ্যে এই প্রথম হাসপাতালে ভরতি থাকা কোনও করোনা রোগী আত্মঘাতী হলেন। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে।
কলকাতার এনআরএস হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগে চিকিৎসারত অবস্থায় করোনা ধরা পড়ে কাকদ্বীপের বাসিন্দা রাজকুমার বেরার। এই মারণরোগকে হারিয়ে আর বেঁচে ফিরতে পারবেন কিনা সেই দুশ্চিন্তায় মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন তিনি। আর তার জেরেই রবিবার আত্মহত্যার চরম সিদ্ধান্ত নিলেন বছর আটত্রিশের ওই যুবক। এমনই জানা গিয়েছে হাসপাতালের তরফ থেকে।
আরও পড়ুন : IPL 2020: মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে আইপিএল অভিযান শুরু নাইটদের, দেখে নিন KKR-এর ক্রীড়াসূচি
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এনআরএস হাসপাতালের চেস্ট বিল্ডিং-এ যেখানে করোনা ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে, তার তিন তলার শৌচালয় থেকে রবিবার সকালে উদ্ধার করা হয়েছে ওই যুবকের দেহ। গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলতে দেখা যায় তাঁকে। এই দেখেই হাসপাতাল কর্মীদের খবর দেওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। চিকিত্সকরা তাঁকে পরীক্ষা করার পর মৃত বলে ঘোষণা করেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এনআরএস হাসপাতালের চেস্ট বিল্ডিং-এ যেখানে করোনা ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে, তার তিন তলার শৌচালয় থেকে রবিবার সকালে উদ্ধার করা হয়েছে ওই যুবকের দেহ। গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলতে দেখা যায় তাঁকে। এই দেখেই হাসপাতাল কর্মীদের খবর দেওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। চিকিত্সকরা তাঁকে পরীক্ষা করার পর মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এর আগে গত ৮ আগস্ট কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক রোগী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই সিলিন্ডার দিয়ে কোভিড ওয়ার্ডের জানলার কাচ ভেঙে চার তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।ঠিক সময়ে দৌড়ে গিয়ে তাঁকে ধরে ফেলেন নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। কিন্তু রাজকুমার বেরাকে রক্ষা করা সম্ভব হল না।
আরও পড়ুন : মদ কোম্পানির লোগো দেওয়া জার্সিতে ‘না’, বাবর আজমের আর্জি মেনে নিল ক্লাব