‘হাল ফেরাও,লাল ফেরাও’! শক্তি পরীক্ষার ব্রিগেডে সিপিএমের লক্ষ্য ১০ লাখ লোক ও ‘টুম্পা সোনা’

কংগ্রেস সূত্রের খবর, রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা ব্রিগেড সমাবেশে অন্যতম বক্তা হিসেবে আসতে পারেন।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ভোটমুখী বাংলায় বামপন্থী নেতাদের মুখে নতুন স্লোগান— ‘হাল ফেরাও, লাল ফেরাও’। যে স্লোগানে বলা হচ্ছে তৃণমূলকে হঠিয়ে আবার বামেদের ক্ষমতায় আনার কথা। সেই লক্ষ্যের শুরু ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশে। যেখানে বামেদের সমাবেশে থাকবে জোট শরিক কংগ্রেসও।

সমাবেশে বক্তার তালিকা এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। তবে বামেদের তরফে শরিক নেতাদের পাশাপাশি থাকবেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। কংগ্রেস সূত্রের খবর, রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা ব্রিগেড সমাবেশে অন্যতম বক্তা হিসেবে আসতে পারেন। তাঁদের সময় নেওয়ার চেষ্টা চলছে।

এ বারের ব্রিগেড হবে জোটের ব্রিগেড। দু’টি দল থেকেই নেতা-কর্মী-সমর্থকরা সভায় আসবেন। ফলে ব্রিগেডে বিপুল লোকের জমায়েত হবে বলে আশা করছেন জোট নেতৃত্ব। তাঁদের ধাররণা, সব মিলিয়ে ১০ লক্ষের বেশি মানুষ ব্রিগেডে আসবেন। যা সাম্প্রতিককালের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দেবে। জোট নেতাদের দাবি, ‘ঐতিহাসিক’ হতে চলেছে এ বারের ব্রিগেড।

আরও পড়ুন: দেশে করোনার গ্রাফ ফের ঊর্ধ্বমুখী! দৈনিক আক্রান্ত বেড়ে প্রায় ১৪ হাজার

‘ইতিহাস’ গড়ার লক্ষ্যে পাশাপাশিই সিপিএমের প্রচারে ঢুকে পড়েছে সম্প্রতি নেটমাধ্যমে ‘ভাইরাল’ টুম্পাসোনা। টুম্পার গানের অনুসরণে ব্রিগেডমুখী একটি গান ইতিমধ্যেই নেটমাধ্যমে ঘুরছে। মূলত বামপন্থীরা গানটি তাঁদের নেটমাধ্যমে ‘শেয়ার’ করতে শুরু করেছেন।

সিপিএম আগে বলত, ‘সিএপিএমের ভোট সিপিএমের পড়বে।’ কিন্তু ক্ষমতা থেকে বামেরা সরে যাবার পর থেকে দেখা গিয়েছে, সিপিমের ভোট তাদের দল ছাড়া যেকোনো জায়গায় পড়তে পারে। নিজেদের সম্পর্কে একটা মিথ কাহারা করার চেষ্টা করেছিল সিপিএম। যা মিথ্যা। আজকে বিজেপির উত্থানে সবথেকে বড় ভূমিকা যে সিপিএম বতাদের, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তাসের ঘরের মত তাদের ভোট ব্যাঙ্ক ভেঙে পড়েছে। মজবুত হয়েছে বিজেপির ভোটব্যাংক।

নিজের নাম কেটে কেবল নিজের যাত্রাভঙ্গই হয়। এই সাধারণ সত্যটুকু বুঝতে না পারলে তাদের আবাস ভাইজানের হাত ধরতে হয়। যে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রচার করে সিপিএম তিন দশক প্রচার করেছে, তাদের বহরমপুরি নেতা সিপিএমকে কতটা বল দেবে তা ভবিষৎতে বলবে। আগে এই নেতাকেই দিনরাত সিপিএম ‘গুন্ডা’ বলে বাপান্তি করত। এখন তিনি তাদের কাছে ‘মহান’ নেতা। কারণ তিনি মমতা বিরোধী।

মমতা নিজেই কংগ্রেস থেকে বের হয়ে তৃণমূলের জন্ম দিয়েছেন। এ রাজ্যে কংগ্রেসের দৌড় কতখানি তা তার থেকে ভালো কেউ জানে না। বামেদের দৌড়ই বা কতটা তাও তার থেকে বেশি জানেন না কেউ।মমতাও চাইছেন বামেদের ভোট বামেই পড়ুক, রামে নয়।তাতে বাংলা ‘শাহ ও বর্গীদের’ হাত থেকে রক্ষা পাবে।

আরও পড়ুন: ভুয়ো ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পেলেন কেকে, যাচাই না করেই শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি নরেন্দ্র মোদীর!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest