সুশান্ত ঘোষকে সাসপেন্ড করল সিপিএম। শুক্রবার দলের ভার্চুয়াল রাজ্য কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তাঁকে ৩ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে সিপিএমের তরফে। সঙ্গে দলের পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শ্যামল মাইতিকে সমস্ত দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিয়েছে দল। পাশাপাশিই, রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের গুরুত্ব বাড়ল দলে। তাঁকে আমন্ত্রিত সদস্য করে নিয়ে আসা হল রাজ্য কমিটিতে।
পার্টি ক্ষমতায় থাকার সময় থেকেই বিতর্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাঁকে। একসময় গড়বেতার বেতাজ বাদশা হয়ে ওঠেন। ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর বেনাচাপড়া কঙ্কালকাণ্ডে গ্রেপ্তারর হন তিনি। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর দলের সঙ্গে কার্যত সম্পর্ক বিচ্ছেদ করেন তিনি। বই লেখার কাজে হাত দেন। ‘বামফ্রন্ট জমানার শেষ দশ বছর’ শীর্ষক একটি বই লিখে পার্টির অন্দরে বিতর্কে জড়ান। তাঁর বিরুদ্ধে দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ ওঠে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটি তাঁকে বহিস্কারের সুপারিশ করে রাজ্য কমিটির কাছে। এরপরই কেন্দ্রীয় কমিটির দুই সদস্য রামচন্দ্র ডোম ও আভাস রায়চৌধুরির ওপর তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। গঠিত হয় কমিশন। করোনা আবহেও কমিশন কাজ চালিয়ে সুশান্ত ঘোষকে দোষী সাব্যস্ত করে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীলাভ! পুকুরে ডুব দিলেই মিলছে টাকা, শোরগোল মেমারিতে
দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের বক্তব্য, ‘‘প্রকাশ্যে যে ভাবে সুশান্তবাবু ধারাবাহিক বিষোদগার করেছেন, তা ‘বহিষ্কারযোগ্য অপরাধ’। কিন্তু তিনি ভুল স্বীকার করে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তাই তাঁকে সুযোগ দেওয়া হল।’’ দল-বিরোধী কাজ ও ‘বিরোধী পক্ষের সঙ্গে যোগসাজশ’ রেখে চলার অভিযোগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শ্যামল মাইতিকে সব কমিটি থেকে অবনমনের সিদ্ধান্তও হয়েছে।
জাতীয় পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করার পাশাপাশি ইয়েচুরি এ দিন বৈঠকে বলেছেন, বাংলায় বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক সব শক্তিকে একজোট করার চেষ্টা জারি রাখতে হবে। রাজ্য সম্পাদক সূর্যবাবুর পরামর্শ, পুরভোট আদৌ এখন হবে কি না, সংশয় আছে। বিধানসভা ভোট মাথায় রেখেই বুথ কমিটি গড়া-সহ সব রকমের সাংগঠনিক প্রস্তুতি নিতে হবে।
আরও পড়ুন: মেট্রোয় চাপতে হলে আগাম সিট বুক করতে হবে অ্যাপে, জেনে নিন নয়া নিয়ম