‘বাড়ি বাড়ি যাও, জনসংযোগ বাড়াও’ কর্মসূচি শুরু করছে সিপিএম

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

রাজ্য ও দেশের পরিস্থিতি রাজ্যের মানুষের কাছে তুলে ধরতে CPM তার শ্রমিক সংগঠনের ব্যানারে শুরু করছে, ‘বাড়ি বাড়ি যাও, জনসংযোগ বাড়াও’ কর্মসূচি। অর্থাৎ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি, তৃণমূলের(TMC) পাশাপাশি জমি ছাড়াতে রাজী নয় সিপিএমও।একুশের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার চালু করেছে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি। পাল্টা কর্মসূচি ‘আর নয় অন্যায়’ চালু করেছে বিজেপি।

সিপিএম সূত্রে খবর, ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে প্রথম দফার কর্মসূচি। আগামী ৩ জানুয়ারি ৭৫ ও ৭৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে চালু হবে ওই কর্মসূচি। ঘরে ঘরে গিয়ে সিপিএম কর্মীরা বোঝাবেন দেশে কীভাবে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। ঘরে ঘরে গিয়ে জানতে চাওয়া হবে কীভাবে বেকাররা যন্ত্রণার মধ্যে রয়েছেন। বলা হবে কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা। এছাড়াও কোন শ্রমিক ভাতা পাচ্ছেন না, কোন বাড়িতে কতজন বেকার, আদৌ কোনও সরকারি সাহায্য পাচ্ছেন কিনা। না পেল কেন পাচ্ছন না তার তথ্য জোগাড় করা হবে। এককথায় তরুণ প্রজন্মকে সামনে রেখে মানুষের সঙ্গে কথা বলা।

আরও পড়ুন: Scholarship 2020-21: সরকারি স্কলারশিপের জন্য আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি, দেখে নিন নয়া দিনক্ষণ

আগামী ১৮ জানুয়ারি জেল ভরো ও আইন অমান্য কর্মসূচি পালন করবেন বাম সমর্থক-কর্মীরা। সিটু নেতা অনাদি সাহু এনিয়ে বলেন,  কলকাতা থেকে শুরু হলেও গোটা রাজ্য জুড়েই এই কর্মসূচি পালন করা হবে। দুই সরকারের জন বিরোধী নীতিগুলো বোঝানোর পাশাপাশি, আমরাও মানুষের সমস্যার কথা শুনব।

সিপিএমের ভোট ব্যাঙ্ক কমেছে ঠিকই, কিন্তু যে ভোট ব্যাঙ্ক এখনও রয়েছে তা আশা জাগানোর মত। কিন্তু প্ৰকৃত পরিকল্পনার বাস্তবায়নের অভাবে তা প্রচারে আসছে না। বামকর্মীরা বলছেন, আসলে মিডিয়া তাদের কভার করছে না সেভাবে। সে কারণেই বহু কাজ করার পর তারা মানুষের কাছে তেমন করে পৌঁছতে পারছে না।

প্রকৃত বামপন্থীদের বক্তব্যই হল মিডিয়া কভার করুক বা না করুক এ কাজ চালিয়ে যেতে হবে। মানুষকে বোঝাতে হবে। সহজ করে। তাদের বোঝাতে হবে মন্দির হলে কিংবা মজসিদ হলে চাকরি হবে না। শাহ-মোদী সরকারের কর্মসংস্থানের ‘ভুয়ো’ প্রতিশ্রুতি নিয়ে লাগাতার প্রশ্ন করতে হবে।  কেবল কুরসী দখলের জন্য এই কাজ করলে হবে না। এ কাজ লাগাতার করে যেতে হবে। তাতেই আসবে কুরসী। আসবেই।

আজকের দিনে বামপন্থীদের কাজ সুবিধা করে দিয়েছে ডানপন্থীরাই। চারদিকে দুর্নীতি আর ধর্মীয় উন্মাদনা। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে নিজেদের জায়গায় খাড়া থাকতে হবে তাদের। কারও প্ররোচনায় পা দিলে হবে না। ক্ষমতায় ফিরতে শর্টকার্ট করলে হবে না।  কেবল ক্ষমতায় ফেরার জন্য ব্যাকুল হলে অবস্থা আরও খারাপ হবে। রাজনীতি লং টাইম বিষয়। সেটাকে চিটফান্ডের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা যাবে না। বাকিদের যা মানায় বামপন্থীদের তা মানায় না।

আরও পড়ুন: বর্ষবরণের পার্টি চলাকালীন ছাদ থেকে পড়ে মত্ত যুবকের মৃত্যু, চাঞ্চল্য পর্ণশ্রীতে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest