কালো হওয়ায় স্ত্রীকে কটূক্তি করেন? জানেন কি 498A-এ ধারায় হবে শাস্তি হতে পারে আপনার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

The News Nest: গায়ের রং কালো হওয়ার জন্য কোনও বধূর উপর নির্যাতন করা হলে, কটূক্তি করা হলে, তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। ভারতীয় দণ্ডবিধির 498A ধারায় হবে মামলা। সাম্প্রতিক একটি রায়দানে এ কথা জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

১৯৯৮ সালে কোচবিহারে নির্যাতনের কারণে এক বধূর মৃত্যুর মামলার রায়দানের সময় এ কথা বলে আদালত। বিচারপতি শহিদুল্লাহ মুন্সি ও শুভাশিস দাশগুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ ২৫ জুন ৩১ পাতার রায়দানে এই প্রসঙ্গ তুলেছেন। তাতেই বলা হয়, ‘বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা যদি গায়ের রং কালো হওয়ার জন্য বধূর উপর নৃশংসতা দেখায়, তবে তা অবশ্যই 498A-র আওতায় পড়বে।’

মেয়েটির অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে সরকারপক্ষের অতিরিক্ত আইনজীবী অরুণ কুমার মাইতি বলেন, ‘১৯৯৭ সালের অক্টোবরে বিয়ের পর সবে মেয়েটির তিন দিন কেটেছে, তার মধ্যেই তাঁকে গোয়াল ঘরে থাকতে দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট এটা স্পষ্ট বলে দিয়েছে যে, মহিলার গায়ের রং কালো হওয়ার জন্য তাঁকে যদি মানসিক যন্ত্রণা দেওয়া হয়, তাহলে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের 498A ধারায় অভিযুক্ত বলে গণ্য করা হবে।’

আরও পড়ুন: আগেই হাইজ্যাক হয়েছে প্যাটেল, বাঙালি আবেগে সুড়সুড়ি দিয়ে এবার বিধান রায়

বিবাদী পক্ষের আইনজীবী অরিন্দম জানা বলেন, ‘আমিও এই বিষয়ে সম্পূর্ণ একমত। একটা মেয়েকে বিয়ের পরদিন থেকেই যদি কালো হওয়ার জন্য কুত্‍‌সিত বলে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অপমান করতে থাকেন, তাহলে তাঁর জীবনের সব স্বপ্নই নিমেষে ধ্বংস হয়ে যায়। একজন নববধূকে এই কারণে অত্যাচার করার থেকে বড় মানসিক নির্যাতন আর কিছু হতে পারে না। এটা মানসিকভাবে নৃশংসতা। যা 498A-এর আওতায় পড়ে।’

সংশ্লিষ্ট মামলায় অভিযুক্ত স্বামী মজিউল মিঞাকে বিয়ের সময় নগদ ১১,০০০ টাকা, তিনটি রুপোর গয়না ও একটি সাইকেল দিতে হয়েছিল মেয়ের পরিবারকে। কিন্তু বিয়ের পরপরই মেয়েটির উপর নির্যাতন শুরু হয়। এমনকি সাইকেলের চেন দিয়ে তাঁকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। বারবার মেয়েটিকে হুমকি দেওয়া হয় যে, তাঁর স্বামী তাঁকে ছেড়ে দিয়ে আবারও বিয়ে করবে। বিয়ের তিনদিনের মধ্যে তাঁকে গোয়াল ঘরে রাখা হয়। তার কিছুদিনের মধ্যেই ঝুলন্ত অবস্থায় মেলে তাঁর দেহ। মৃত্যুর চারদিন আগেও তাঁর বাবা তাঁকে বাড়ি ফিরে আসতে বলেছিলেন।

তবে তা শোনেননি ওই মহিলা। তাঁর মৃতদেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে প্রথম খুনের ইঙ্গিত মেলে। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে খুনের অভিযোগে মজিউল ও তাঁর বাবা-মাকে যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দেয় নিম্ন আদালত। ২০১৩ সালে হেফাজতেই মারা যান মজিউলের বাবা।

আরও পড়ুন: উলটো রথে ইসকন মন্দিরে নুসরত, টানলেন দড়ি, করলেন আরতি

Gmail

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest