বঙ্গের আরও কাছে সুপার সাইক্লোন ‘আমফান’, বাংলা-ওড়িশার উপকূলীয় অঞ্চলে জারি চরম সতর্কবার্তা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের আরও কাছে চলে এল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফান। এই মুহূর্তে আমফান ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে মাত্র ৪৮০ কিলোমিটার দূরে। দিঘা থেকে ৬৩০ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৭৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। স্থলভাগে যখন আছড়ে পড়বে ঘূর্ণনের গতিবেগ হবে ১৫৫-৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। এমনকি তা ১৮০ কিলোমিটারও ছাড়িয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে হবে প্রবল জলোচ্ছ্বাস।

নিম্নচাপ চাপ থেকে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর আমফানের গতিমুখ ছিল উত্তর-পশ্চিম দিকে। এখন তা বাঁক নিয়ে সরাসরি এ রাজ্যের দিকে ধেয়ে আসছে। এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথে রয়েছে দিঘা থেকে বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপ। সোমবার আমফান শক্তি বাড়িয়ে ‘সুপার সাইক্লোনে’ পরিণত হয়েছিল। আজ সামান্য কিছুটা শক্তি হারিয়েছে, তবে এখনও ‘এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোনে’র রূপ নিয়েছে। ফলে সমুদ্র থেকে যখন স্থলভাগে আমফান আছড়ে পড়বে তার গতি থাকবে প্রবল। আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে সাগরদ্বীপ এবং সুন্দরবন অঞ্চলে। যদিও এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না ঠিক কোথায় ছোবল মারবে আমফান। তবে যা গতিপথ রয়েছে তাতে মনে করা হচ্ছে সাগরদ্বীপ, কাকদ্বীপ এবং সুন্দরবন এলাকায় সবচেয়ে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

জেলাগুলিতে চরম সতর্কবার্তা জারি হয়েছে। আজ বিকেল থেকেই ঝড়বৃষ্টি শুরু হবে মূলত উপকূলের জেলা অর্থাৎ পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। বাকি চার জেলায় সন্ধের পর আবহাওয়া বদলের সম্ভানা। আজ ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ৬০-৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। বুধবার সকাল থেকে ১০০ কিলোমিটার ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে এবং তা বেড়ে উপকূলের জেলাগুলিতে বিকেল বা সন্ধ্যের দিকে ১৯৫ কিলোমিটার পর্যন্তও হতে পারে ঝড়ের গতিবেগ। কলকাতায় ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার হতে পারে।

আরও পড়ুন: ঘণ্টায় ২৭০ কিমি বেগ! সব থেকে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের খেতাব পেল Amphan

আমফানের ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচতে ইতিমধ্যেই তৎপর প্রশাসন। এ রাজ্য দিঘা উপকূলবর্তী অঞ্চলের নিচু জায়গা থেকে মানুষজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব মেনে জেলা প্রশাসন এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা মিলে কাজ করছেন। ইতিমধ্যেই হলদিয়া বন্দরে জাহাজ প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে। প্রচুর কাঁচাবাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকছে।

১৯৯৯ সালে ওড়িশার পারাদ্বীপ তছনছ করে দিয়েছিল শক্তিশালী সুপার সাইক্লোন। আমফানও তেমনই শক্তিশালী হতে চলেছে বলে আশঙ্কা আবহবিদদের। আবার সুন্দরবন এলাকা কাঁপছে আয়লার আতঙ্কে। বুধবারের পর সাইক্লোনের শক্তি কমলেও, বৃহস্পতিবার ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। মূলত ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া মুর্শিদাবাদ এবং উত্তরবঙ্গ জুড়ে।

আরও পড়ুন: উপকূল থেকে সরানো হচ্ছে ২ লাখ মানুষকে! ‘আমফান’ আতঙ্ক দীঘা-সুন্দরবনে

Gmail 2

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest