শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আমফান, বঙ্গে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা ৭০ শতাংশ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কলকাতা: শক্তি বাড়িয়ে ভয়ংকর হয়ে ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে পশ্চিমবঙ্গের দিকে। শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়টি মূলত আছড়ে পড়বে সাগরদ্বীপে। এমনটাই আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, ২০ তারিখ অর্থাৎ বুধবার সাগরদ্বীপের উপর আছড়ে পড়বে আমফান। সেসময় তার গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৯০০- ১২০০ কিলোমিটার। ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশের হাতিয়ারও।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস এ দিন জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আগামী মঙ্গলবার থেকেই উপকূলীয় জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার গাঙ্গেয় বঙ্গের প্রায় সব জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস এ দিন জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আগামী মঙ্গলবার থেকেই উপকূলীয় জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার গাঙ্গেয় বঙ্গের প্রায় সব জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা। 

আরও পড়ুন: ইয়াকুবের কোলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ অমৃতের! রাস্তাতেই শেষ দুই পরিযায়ীর বন্ধুত্ব

রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এখন সমুদ্রে গিয়ে মাছ ধরা বন্ধ। বিপর্যয় মোকাবিলা কেন্দ্র এবং ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলিকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। সেখানেও সামাজিক দূরত্ব-সহ করোনা বিধি মানা হবে। জাতীয় এবং রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। এ দিন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিংহও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সচিব-সহ পদস্থ অফিসারদের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করেন।

পূর্বাভাস, দিঘা ও মন্দারমণির কাছাকাছি ঝড় আছড়ে পড়তে পারে। তবে অনেক সময় ঝড়ের অভিমুখ বদলেও যায়। তবে তারও একটি নির্দিষ্ট এলাকা থাকে। এক আবহবিজ্ঞানীর মতে, এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে আমফানের আছড়ে পড়ার আশঙ্কা ৭০ শতাংশ। পথ বদলে তার ওড়িশায় চলে যাওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ। গত বছর মে মাসে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণীর দাপটে লন্ডভন্ড হয়েছিল ওড়িশা। পশ্চিমবঙ্গে তেমন ক্ষতি হয়নি। ডিসেম্বরে আবার প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এ রাজ্যের উপকূলীয় জেলাগুলি। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের এক বিজ্ঞানীর কথায়, ‘‘ঘূর্ণিঝড় ওড়িশায় গেলে বাংলা রেহাই পাবে। সোজাসুজি আছড়ে পড়লে বুলবুলের মতো পরিস্থিতি হতে পারে।’’ 

আবহবিদেরা জানান, ঘূর্ণিঝড় তৈরির অন্যতম শর্ত, সাগরের জলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হতে হবে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের জলের তাপমাত্রা বর্তমানে ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি রয়েছে। দীর্ঘ পথ পেরোনোর সময় জলীয় বাষ্প শুষে আমফান আরও শক্তি বাড়াবে।

আরও পড়ুন: বাচ্চা সমস্যায় পড়লে বাবা-মা কী ঋণ দেয় ? করোনা প্যাকেজ নিয়ে কেন্দ্রকে প্রশ্ন রাহুলের

Gmail 2

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest