ইয়াস আসার আগেই ঝড়ের তাণ্ডব হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনার কিছু এলাকায়। হুগলির ব্যান্ডেল এবং উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি ও হালিশহরে মঙ্গলবার কয়েক মুহূর্তের ঝড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়। কয়েক মুহূর্তের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় ওই সব এলাকা। ঝড়ের জেরে দোকান উড়ে পড়ে খালে। ভেঙে পড়ে গাছপালাও। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এটা ছোটখাটো টর্নেডো। ঘূর্ণিঝড়ের আগে এমনটা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে ঝড় শুরু হয় ব্যান্ডেলে। তার প্রভাব দেখা যায় লাগোয়া নৈহাটি এবং হালিশহরেও। তার জেরে হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড অর্থাৎ ব্যান্ডেল চার্চ সংলগ্ন খেলনার দোকান উড়ে গিয়ে পড়ে রসভরা খালে। গাছ পড়ে একাধিক বাড়ির চালও ভেঙে পড়ে। কয়েকটি বাড়ির টিনের চাল পাক খেতে খেতে উড়ে যায় বহু দূরে। মঙ্গলবারই জানা গিয়েছে, ইয়াসের গতিপথ এখন ওড়িশার দিকে। এমন পরিস্থিতিতে স্বস্তিতে ছিলেন অনেকেই। কিন্তু আচমকা ঝড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
উত্তর ২৪ পরগনার বীজপুর থানা এলাকার জেটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বালিভাড়া গ্রাম। ঝড়ে কমপক্ষে ৭০-৮০ টি বাড়ির টালি কিংবা টিনের ছাউনি উড়ে গেছে। নুয়ে পড়ছে বিশাল নারকেল গাছগুলি। ঝড়ের দাপটে নদীর দুপারে অন্তত ৮০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: নারদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে CBI, সোমবার হাইকোর্টের শুনানিতে স্থগিতাদেশের আর্জি
একটি বাড়ির টিনের চাল উড়ে যাওয়ার পর ভেঙে পড়ে তার ওপরের গাঁথনি। তাতে আহত হয়েছেন ৩ জন। তাঁকে কল্যাণী জেএমএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চালের টিন উড়ে ট্রান্সফরমারে পড়ায় গোটা এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এদিন সন্ধ্যায় নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এই টর্নেডোর কথা উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করবে প্রশাসন। তবে দুর্যোগের রাতে মাথার ওপর ছাদ হারিয়ে দিশাহারা অন্তত ৮০টি পরিবার।
মঙ্গলবার পাণ্ডুয়ার হড়াল দাসপুরে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। নিহতের নাম কমল মাঝি (২২)। মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। সেই সময় বাইরে বেরিয়েছিল কমল। বজ্রাঘাতে তাঁর মৃত্যু হয়। পাণ্ডুয়ার দ্বারবাসিনী পঞ্চায়েতের আটপালা গ্রামের স্বপন বাউল দাস (৪০) নামে আর এক জনের মৃত্যু হয়েছে বজ্রাঘাতে। মাঠে কাজে গিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ইয়াস মোকাবিলায় নবান্নর কন্ট্রোল রুমে রাজ্যপাল, বসলেন মমতার পাশের চেয়ারেই