রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া সরশুনায়! তিন দিন বাবার মৃতদেহ আগলে বসে মেয়ে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বৃদ্ধ বাবার মৃতদেহ আগলে ৩ দিন ধরে বসে রইল মেয়ে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল কলকাতা লাগোয়া সরশুনায়। বুধবার প্রতিবেশীরা পচা গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেন। সরশুনা থানার পুলিশ গিয়ে ৮৭ বছর বয়সী বৃদ্ধ রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দেহ উদ্ধার করেন।

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বার্ধ্যকজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ওই বৃদ্ধের। বুধবার ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। এ দিন দুপুরে পুলিশকর্মীরা সেখানে গিয়ে দেখেন, মৃতের পাশেই বসে রয়েছেন তাঁর মেয়ে। দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। দুই থেকে তিন দিন আগে বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বয়স হয়েছে আনুমানিক ৯০ বছর। কী কারণে মৃ্ত্যু, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের মেয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। এর আগে মা এবং ভাইয়ের মৃত্যুর সময়েও মৃতদেহ আগলে রাখার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে সরশুনা থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ! আগামী ২-৩ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, বইবে ঝোড়ো হাওয়া

এলাকাবাসীদের দাবি, ২০১৯ সালে মৃত্যু হয় রবীন্দ্রনাথবাবু স্ত্রী ছায়া চট্টোপাধ্যায়ের। তখনও দেহ আগলে বসে ছিল পরিবার। তার পর মৃত্যু হয় রবীন্দ্রনাথবাবুর ছেলের। তখনও বাবা ও মেয়ে মিলে ভাইয়ের দেহ আগলে বসে থাকেন। এবার রবীন্দ্রনাথবাবুর মৃত্যুর পরও দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করেনি মেয়ে। ঘটনায় মেয়ের মানসিক অবস্থা পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। প্রয়োজনে চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়েছে থানাসূত্রে।

২০১৫ সালের ১০ জুন মধ্য কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটে পুলিশ কমিশনারের বাসভবন থেকে উদ্ধার হয় দেবযানী দে নামে এক মহিলার দেহ। দীর্ঘদিন ওই দেহের সঙ্গে বসবাস করছিলেন তাঁর ভাই পার্থ দে।

আরও পড়ুন: সাত সকালে কলকাতায় জোড়া পথ দুর্ঘটনা! মাথা থেঁতলে মৃত্যু ৩ জনের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest