Site icon The News Nest

মাস্ক নেই কুমারী মায়ের মুখে, সমালোচনার মুখে পরে ‘আধ্যাত্মিক’ যুক্তি বেলুড় মঠের

belur moth

বেলুড় মঠে মহাষ্টমীর কুমারী পুজোয় কুমারী মায়ের মুখে মাস্ক না থাকা নিয়ে শনিবার দিনভর সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেন নেটাগরিকদের একাংশ। পুজোয় অংশ-নেওয়া বাকি সকলে মাস্ক পরলেও দেবীরূপে পূজিতা শিশুকন্যার মুখ ছিল নিরাবরণ। তা নিয়ে এ দিন সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তোলা শুরু হয়। সঙ্গে উদ্বেগ।

তবে বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ এতে কোনও ভুল দেখছেন না। উলটে মঠের দাবি, তাঁকে মাস্ক পরানো দরকার বলে মনে হয়নি। তবে বিধিসম্মত সতর্কতা অবলম্বন করে আগেই কুমারী মায়ের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করানো হয়েছিল। রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরেই পুজোর আয়োজন হয়।

বেলুড় মঠে বিশেষ আকর্ষণ অষ্টমীর কুমারী পুজো। এবার করোনা পরিস্থিতিতে চেনা দৃশ্য ছিল না। পুজোর কাজে নিযুক্ত সন্ন্যাসীরা ছাড়া কেউই পুজোর জায়গার কাছাকাছি যাননি। কুমারী পুজোও বড় মণ্ডপ বেঁধে হয়নি। এবার এখানে সাড়ে পাঁচ বছরের কন্যার করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছিল। কুমারীর অভিভাবকদেরও করোনা পরীক্ষা করানো হয়। সন্ন্যাসীদের কোলেও ওঠেননি কুমারী মা। অভিভাবকরাই কুমারীকে মণ্ডপে নিয়ে এসেছেন এবং ফেরত নিয়ে গিয়েছেন।

আরও পড়ুন:

আর তখনই প্রশ্ন ওঠে কুমারী মায়ের মুখে মাস্ক না থাকা নিয়ে। তবে মঠের সাধারণ সম্পাদক সুবীরানন্দজি মহারাজ বলেন, ‘আমরা দেবীকে মাস্ক পরাই না। কুমারী মানুষ নন, দেবী। যতক্ষণ পুজোর আসনে বসে আছেন, ততক্ষণ তিনি মানুষ নন। তিনি মা দুর্গার প্রতিরূপ। তাঁর মধ্যে জগন্মাতা আছেন ভেবেই আমরা তাঁর পুজো করি।’ তবে তিনি জানান, বিনা কারণেই এইসব প্রশ্ন করা হচ্ছে। মাস্ক হল সেকেন্ডারি। পরীক্ষাটাই আসল।

কুমারী মায়ের মুখে মাস্ক থাকলে কি সমাজকে একটা বার্তা দেওয়া যেত না? তাঁর পালটা জবাব, ‘আমরা বার্তা দিতে চাই না। আমরা বিজ্ঞানে বিশ্বাস করি। বিজ্ঞান বলছে, পরীক্ষা করাও। মাস্কের থেকে বেশি দরকার বৈজ্ঞানিক করোনা পরীক্ষা। তাতেই আমরা জোর দিয়েছি।’

আরও পড়ুন:

Exit mobile version