কলকাতা: নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃতীয় দফার লকডাউনের মধ্যেই কিছু ছাড়ের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি এদিন জানিয়েছেন, এখনও অনেকদিন করোনাকে নিয়ে চলতে হবে আমাদের। আরও দু-তিন মাস সময় লাগতে পারে। সেজন্য একটু একটু করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে হবে। তবে এখনই কনটেনমেন্ট জোনে কোন বিধিনিষেধ শিথিল হবে না। এর বাইরে সব জোনেই স্ট্যান্ড-অ্যালোন বা একক ভাবে থাকা সব রকমের দোকান খোলা যাবে। তবে জেলার পুলিশ ও প্রশাসন ঠিক করে দেবে কোথায় কোন দোকান খোলা যাবে বা যাবে না সেটা।
মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গে লকডাউন অনেকটাই শিথিল করার ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেজন্য নতুন করে একগুচ্ছ ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছেন তিনি। রেড জোনের বাইরে এই সব ছাড় মিলবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ রোখার পাশাপাশি জীবন ও জীবিকা সচল রাখতে তৎপর রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, এদিন চপের দোকানও খোলার অনুমতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: রেড জোনকে তিন ভাগে ভেঙে দোকান খোলার রাজ্য সরকারের, জানালেন মমতা
এদিন নতুন করে একগুচ্ছ ছাড় ঘোষণা করলেও মমতা মনে করিয়ে দিয়েছেন, সব কিছু করতে হবে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের বিধি মেনে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগেই শপিং মল ও মার্কেট কমপ্লেক্সের বাইরে অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। এদিন গয়নার দোকান, রেস্টুরেন্ট, ইলেক্ট্রনিক্সের দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছেন তিনি।
রেস্টুরেন্টের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে চায়ের দোকানের বিধি। অর্থাৎ সেখানে বসে খাওয়া চলবে না। রান্না করা খাবার প্যাকেটবন্দি করে নিয়ে যেতে হবে বাড়িতে। সঙ্গে মোবাইল রিচার্জের দোকান খোলা যাবে বলে জানিয়েছেন মমতা। তবে সবই খোলা যাবে বেলা ১২টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত।
সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, খোলা যাবে চপের দোকানও। মমতা বলেন, ‘কেউ আলুর চপ বানাতে চাইলে বানাক না। দুটো ইনকাম হবে তো।’ এদিন কার্যত রেড জোন বাদ দিয়ে বাকি সবজায়গায় সাবধানতার সঙ্গে স্বাভাবিক জীবন যাপনের বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, করোনা ছিল, আছে, থাকবে।