পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৪ রাজ্যে আপাতত কোনও উপনির্বাচন হচ্ছে না। এদিন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। রাজ্যগুলির মুখ্যসচিব এবং মুখ্য নির্বাচনী অফিসারদের আলোচনার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছেন।
ফালাকাটা, হেমতাবাদ, এগরা, ফলতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের একাধিক আসন বিধায়কশূন্য। এর মধ্যে ফালাকাটা আসনটি বিধায়কশূন্য প্রায় ১ বছর। গত অক্টোবরে প্রয়াত হন সেখানকার বিধায়ক অনিল অধিকারী। এপ্রিলে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ফালাকাটায়। কিন্তু করোনার জেরে লকডাউন শুরু হওয়ায় তা স্থগিত ঘোষণা করে কমিশন।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য, অনুপম হাজরার বিরুদ্ধে FIR
আগামী ২৪ মে মেয়াদ শেষ হবে তামিলনাড়ু বিধানসভার। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার মেয়াদ ফুরোবে ওই মাসের ৩০ তারিখে। ৩১ মে অসমে শেষ হবে বিধানসভার মেয়াদ। আর ১ জুন কেরল এবং ৮ জুন পুদুচেরি বিধানসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। রাজনৈতিক দলগুলির মতে, খাতায় কলমে মাত্র কয়েক মাসের জন্য করোনার মধ্যে অতিরিক্ত খরচ করে নির্বাচন করে লাভ কতটা! রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরদের অনেকে তেমনই কথা বলছেন। তাঁদের মতে, জিতে আসতে না আসতেই কার্যত বিধানসভার ভোটের প্রস্তুতি নিতে হবে উপনির্বাচনের জয়ী প্রার্থীকে।
উপ নির্বাচন ঘোষিত না হওয়ায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই আসনগুলিতে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা আর নেই বললেই চলে। ফলে ২০২১ এর ফাইনাল পরীক্ষার আগে শক্তিপরীক্ষার আর কোনও সুযোগ রইল না শাসক বা বিরোধীর কাছে। নিয়মানুসারে, কোনও আসন শূন্য হলে তার ছ’মাসের মধ্যে সেখানে ভোট করতে হয়। তবে এ বার করোনার জন্য নজিরবিহীন পরিস্থিতির কারণেই সেই নিয়ম কার্যকরী হয়নি। আর কোনও বিধানসভা বা লোকসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছরের মধ্যে আসন শূন্য হলে ভোট করতে হয় না। তবে এক বছরের বেশি সময় থাকলে ভোট করতে হয়।
আরও পড়ুন: কলকাতার মুকুটে নয়া পালক! বিশ্বের বিজ্ঞান শহরের তালিকার প্রথম ১০০’এ স্থান তিলোত্তমার