বিজেপির ‘রূপ’ বোঝাতে বঙ্গে কৃষক নেতারা, ১৩ তারিখ নন্দীগ্রাম পঞ্চায়েতে থাকবেন রাকেশ টিকায়েত

১২ মার্চ প্রথমে কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করবেন রাকেশ টিকাইতরা।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বুধবার সন্ধ্যায় নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোট পাওয়ার ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এরই মধ্যে মমতার হাত শক্ত করতে রাজ্যে আসছেন দিল্লি সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকরা। কৃষক আন্দোলনের শুরু থেকেই তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা। শুধু তাই নয়, বারবার প্রতিনিধি দল পাঠানোর পাশাপাশি নিজেও কথা বলেছেন তাঁদের সঙ্গে, বিজেপিকে বিঁধেছেন বারবার। এবার ভোট বঙ্গে আসছেন আন্দোলনকারী কৃষক নেতারা। থাকছেন রাকেশ টিকাইত, হান্নান মোল্লা, যোগেন্দ্র যাদব, বলবীর সিং রাজেওাল, গুরনাম সিং চাডুনি, দর্শন পাল, রাজারাম সিং, জুধবীর সিংয়ের মতো কৃষক নেতারা।

কৃষক নেতাদের কর্মসূচি অবশ্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। বৃহস্পতিবার রাতেই কৃষক নেতাদের পৌঁছে যাওয়ার কথা নেতাদের। আগামীকাল, অর্থাৎ ১২ মার্চ প্রথমে কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করবেন রাকেশ টিকাইতরা। এরপর বাংলার কৃষকদের উদ্দেশ্যে গোটা দেশের কৃষকদের পক্ষ থেকে আনা চিঠি তুলে দেবেন যোগেন্দ্র যাদবরা। এরপর তাঁদের ট্রাক্টর মিছিল করে কৃষক দূতদের সঙ্গে রামলীলা পার্কে পৌঁছনোর কথা।

শুক্রবারই দুপুর তিনটে থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত রামলীলা পার্কেই বসবে পশ্চিমবঙ্গ কৃষক-মজুর মহাপঞ্চায়েত। কাল সন্ধ্যাতে খালসা স্কুলের মাঠে বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন কৃষক নেতারা। এরপরই হলদিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করবেন তাঁরা। আর সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণভাবে, বঙ্গ ভোটের এপিসেন্টার হয়ে ওঠা নন্দীগ্রামে ১৩ মার্চ বিকেলে বসবে কৃষক-মজুর মহাপঞ্চায়েত। সেখানে অন্তত দশ হাজার কৃষক যোগ দিতে পারেন। একইদিনে কলকাতার শরৎ বোস রোডে হবে কিষান মজদুর জনসভা।

আরও পড়ুন: মমতা-বক্তব্য নিয়ে আপত্তি কংগ্রেসের, লোকসভার নেতার পদ থেকে অধীরকে অব্যাহতি

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কৃষক আন্দোলনের নেতা রাকেশ টিকায়েত জানিয়েছেন, কলকাতা ও নন্দীগ্রামের কৃষকদের কাছে তিনি জানতে চাইবেন তাঁরা  এমএসপি বা মিনিমাম সেলিং প্রাইস পাচ্ছেন কিনা? বা এর লাভ কখনও তাঁরা পেয়েছেন কিনা? টিকাইতের অভিযোগ দেশের কৃষকরা বিজেপির কৃষি নীতির ফলে  জর্জরিত। এই আবহে বাংলার কৃষকরা যাতে সকলে মিলে বিজেপিকে পরাস্ত করে সেই আহ্বান তিনি জানাবেন বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন। তবে কোনও দলের সমর্থনে তিনি আসছেন না সেকথাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন টিকায়েত। তিনি বলেছেন, আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, ভোট চাইতে যাচ্ছি না। সেখানে কৃষকদের সঙ্গে দেখা করব। তাঁদের উদ্বেগগুলি নিয়ে কথা বলব।

তিনি কি বিজেপির বিরুদ্ধে কোনো প্রচার করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে টিকায়েত  বলেন, অবশ্যই, “আমি সেখানে তাদের (বিজেপির) জয় নিশ্চিত করতে যাচ্ছি না। আমি কৃষকদের সচেতন করার জন্যই সেখানে যাচ্ছি”। কৃষক আন্দোলনকে বারবার সমর্থ জানিয়েছেন মমতা। এই আবহে রাজ্যে এসে তিনি কি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। এই প্রশ্নের জবাবে টিকায়েত স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এমন কোনো পরিকল্পনা তাঁর নেই। কৃষি আইন নিয়ে কথা বলতেই তিনি কেবল রাজ্যে আসছেন। এর আগে, ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের (রাজেওয়াল) সভাপতি বলবীর সিং রাজেওয়াল বৃহস্পতিবার বলেন, কৃষকদের প্রতিবাদের ১০৫ দিন কেটে গেছে। আমরা বেশ কয়েকটি দল গঠন করে যে  ৫ টি রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে সেখানে যাবে। জনগণ বিজেপিকে ছাড়া অন্য কাউকে ভোট দিতে পারে, এমন আবেদন জানানো হবে।

আরও পড়ুন: ‘নানা ঘাটের জল খাওয়া সাপ নিয়ে বিজেপি কী করবে?’, মিঠুনকে কটাক্ষ তসলিমার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest