কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে বিতর্ক কিছুতেই থামছে না। ভোট–চতুর্থীতে শীতলকুচিতে চলল গুলি। তাতে চারজন মারা গেলেন। ভোট–পঞ্চমীতে দেগঙ্গায় চলল গুলি। তাতে অবশ্য কেউ মারা যায়নি। নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনীর উদ্দেশ্যে নির্দেশিকা দিয়েছিল গুলি চালানো যাবে না। সেক্ষেত্রে সেই নির্দেশ লহ্ঘন করা হল। এবার কলকাতা শহরে কেন্দ্রীয় বাহিনী লাঠিচার্জ করল। তাও আবার বরাহনগর এলাকায়। আর তাতেই তেতে উঠেছে পঞ্চম দফার ভোট।
শনিবার রাজ্যে পঞ্চম দফার নির্বাচন। এদিন সকাল থেকেই বরানগরের বিভিন্ন বুথে যাচ্ছেন পার্ণো। তেমনই দুপুরের বরানগরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৭৮ নম্বর বুথে ছাপ্পা হচ্ছে শুনে ছুটে আসেন বিজেপি প্রার্থী। সেইসময় তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে ধাক্কা দেয় অভিযোগ। তাঁর গাড়িতেও ধাক্কাধাক্কি করা হয়। শেষে বিরাট পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: ঠান্ডা মাথায় গণহত্যা! শীতলকুচির ‘ভিডিও’প্রকাশ করে দাবি তৃণমূলের
অপরদিকে তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থী বহিরাগতদের নিয়ে ঘুরে বেরাচ্ছেন। তিনি আলমবাজারের বুথ আসতেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও দেওয়া হয়। দু’পক্ষের মধ্যে বচসার জেরে ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে বরানগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে৷
এই ঘটনায় বিজেপি প্রার্থী পার্ণো মিত্রের অভিযোগ, “ভোটারদের প্রভাবিত করা ও ছাপ্পা ভোটের খবর পেয়ে বুথে এসেছিলাম। এখানে আসার পর অশান্তি পাকায় তৃণমূল কর্মীরা। আমাকে বুথে ঢুকতে আটকানো হয়।” যদিও তৃণমূলের প্রার্থী তাপস রায়ের পালটা দাবি, “১৮টি গাড়ি নিয়ে ঘুরছেন বিজেপির তারকা প্রার্থী। এতগুলো গাড়ি নিয়ে ঘোরার অনুমতি কি আদৌ আছে? বিজেপি প্রার্থীকে কোথাও আটকানো হয়নি।” বরং তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, “কেন্দ্রীয় বাহিনী তাদের কর্মীদের ওপর লাঠি চালিয়েছে। লাঠির ঘায়ে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন।”
আরও পড়ুন: ফিরল শীতলকুচি আতঙ্ক! দেগঙ্গায় পরপর গুলি কেন্দ্রীয় বাহিনীর, অস্বীকার কমিশনের