দোকানে আগুন। সেই আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল দুই কিশোর-সহ দোকান মালিকের। শনিবার ভাঙড়ের ঘটকপুকুরে এই ঘটনা ঘটে। দমকলের চারটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। ঘটনাস্থলে ভাঙড় থানার পুলিস। মৃতদের নাম মোশারফ মোল্লা (৩৮), রাকিবুল মোল্লা (১৪), আতিকুল মোল্লা (১২)।
স্থানীয়দের দাবি, প্রথমে একটি মোবাইল সারানোর দোকানে আগুন লাগে। তারপর সেখান আগুন ছড়িয়ে যায়। পাশেই একটি কেরোসিন তেলের গোডাউন ছিল। সেখানেও আগুন ধরে যায়। আশেপাশের বেশ কয়েকটি দোকানেও আগুন লেগে যায়। পিছনেই ছিল একটি রেস্তোরাঁ। মুহূর্তে তা আগুনের গ্রাসে চলে যায়। এদিকে রাতে দোকানের ভিতরই ঘুমিয়েছিল রেস্তোরাঁর দুই কিশোর কর্মচারি রাকিবুল, আতিকুল। ঘুমের মধ্যেই সব শেষ। পুড়ে খাক দু’টো জ্যান্ত প্রাণ। এদিকে দোকানে আগুন লাগার খবর পেয়েই ছুটে আসেন রেস্তোরাঁ মালিক মোশারফ মোল্লা।
আরও পড়ুন: ১,৪০০ তৃণমূলকর্মীর BJP-তে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও এলেন না কেউ, চোটে লাল মুকুল
দুই কর্মীকে বাঁচাতে আগুনেই ঝাঁপ মারেন তিনি। পরে মালিক-সহ তিনজনেরই মৃতদেহ বের করে আনে পুলিস। এলাকার প্রচুর দোকান ভষ্মীভূত হয়ে গিয়েছে। গোটা এলাকায় কার্যত কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। আগুন নেভানোর কাজ চালাচ্ছে দমকল। এখনও পর্যন্ত আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
প্রাথমিকভাবে এলাকার লোকজনই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের চারটি ইঞ্জিন। কীভাবে এই আগুন লাগল তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছে না পুলিস। তবে স্থানীয়রা বলছেন, দোকানগুলিতে দাহ্য বস্তু থাকায় মুহূর্তে এমন সর্বগ্রাসী হয়ে ওঠে আগুন। ঘটনাস্থলে রয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: বিদ্রোহে ইতি! দল ছাড়ার কথা বলে ভুল করেছি, দিদির কাছে ক্ষমা চাইব, বললেন জিতেন্দ্র