Site icon The News Nest

‘‌কুপুত্র’‌ শুভেন্দুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামছেন ‘‌নন্দীগ্রামের মা’‌ ফিরোজা বিবি

WhatsApp Image 2020 12 31 at 6.20.19 PM

বাংলায় এবার ভোটের ময়দানে ছেলের বিরুদ্ধে লড়বেন মা। ছেলে সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপি–তে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মা ফিরোজা বিবি(Firoja Bibi)।ফিরোজা বিবির পুত্র শেখ ইমদাদুল ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে (Nandigram) পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান। সেই থেকেই তিনি ‘‌শহিদের মা।’‌

তিনি ‘নন্দীগ্রামের মা’। এবং তিনি বলছেন, ‘‘কুপুত্র থেকে নিপুত্র ভাল!’’ তাঁর কাছে এখন ‘কুপুত্র’ শুভেন্দু অধিকারী।‘দাদার অনুগামী’-রা  কেউ কেউ  দল ছেড়ে গেলেও ‘মা’ রয়ে গিয়েছেন তৃণমূলেই।  দলত্যাগের পর থেকেই পুত্রসম শুভেন্দুর সঙ্গে আর কথা হয়নি তাঁর।

আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে ৬ কোটি টাকার ফসল নিয়ে বেপাত্তা বেসরকারি সংস্থা, কৃষি আইন নিয়ে অস্বস্তি বিজেপির

শুভেন্দুর বিরুদ্ধেই তাঁকে বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামের ময়দানে লড়াইয়ে নামতে হবে। অতএব কোনও পিছুটান না রেখে সন্তানহারা মা বলছেন, ‘‘কুপুত্র থেকে নিপুত্র ভালো।’’ আরও বলছেন, ‘‘লড়াইয়ে আমার ভূমিকা তো থাকবেই! আমি এক সন্তান হারিয়ে হাজার সন্তান পেয়েছি। তাই এক সন্তানের বিরুদ্ধে যদি আমাকে লড়তে হয় তো লড়ব! আমার অবস্থানে কোনও বদল হবে না।’’

গত ১০-১২ বছরে শুভেন্দু-ফিরোজার সম্পর্ক ছিল মা-ছেলের মতোই। কিন্তু পুত্রসম শুভেন্দুর দলবদলে রুষ্ট হয়েছেন ‘মা’। পাশাপাশি চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন ভোট ময়দানে লড়াইয়ের। তাঁর কথায়, ‘‘মুখের আস্ফালন দেখিয়ে লাভ নেই। সম্মুখসমরে দেখা হবে।’’ বিজেপি নেতাদের ভাষা ব্যবহারও নিয়েও বিস্তর আপত্তি রয়েছে তাঁর। ফিরোজা বলছেন, ‘‘বলা হচ্ছে খেরিয়া হঠাও, দেশ বাঁচাও। আমরা কি খেরিয়া? ওদের (শুভেন্দুর বর্তমান রাজনৈতিক দল) দলের লোকরাই তো এ সব বলে বেড়াচ্ছে!’’

২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে পুলিশের গুলিচালনার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৪ জন আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়। সেই তালিকায় ছিলেন ফিরোজা বিবির পুত্র শেখ ইমদাদুল। পরে ২০০৯ সালে নন্দীগ্রাম বিধানসভার উপনির্বাচনে ‘শহিদের মা’ হিসেবে তাঁকেই প্রার্থী করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তা হলে কি বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের টিকিট ফিরোজা বিবিই পাচ্ছেন?‌ যদিও এ নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথাব্যাথা নেই ‘‌নন্দীগ্রামের মা’‌–এর। তাঁর বক্তব্য, ‘দলের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আমার মন্তব্য করা উচিত নয়। যদি দল মনে করে তবে আমি লড়াই করব। কে সন্তান, কে ভাই, কে ছেলে— এ সব দেখার সময় এখন নেই। আমি দিদির সঙ্গেই ছিলাম, আছি, থাকব।’

আরও পড়ুন: কৃষি আইনের বিরোধিতায় মোদিকে মহুয়ার ৩ প্রশ্ন বাণ

Exit mobile version